মিরপুরে ইতিহাস ছুঁয়ে আবেগাপ্লুত মুশফিক: দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে উৎসর্গ সেঞ্চুরি

৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম

প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
মিরপুরে ইতিহাস ছুঁয়ে আবেগাপ্লুত মুশফিক: দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে উৎসর্গ সেঞ্চুরি

মিরপুরে ইতিহাস ছুঁয়ে আবেগাপ্লুত মুশফিক: দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে উৎসর্গ সেঞ্চুরি

মিরপুরে ইতিহাস ছুঁয়ে আবেগাপ্লুত মুশফিক: দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে উৎসর্গ সেঞ্চুরি

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে দুই দলের মধ্যকার ঐতিহাসিক ঢাকা টেস্ট। এ ম্যাচটি বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের এক বিশেষ মাইলফলক তার শততম টেস্ট। দীর্ঘ পথচলার এই প্রতীকী ম্যাচটিকে আরও অর্থবহ করেছেন মুশফিক নিজের ব্যাটে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে যোগ করেছে নতুন অধ্যায়।

প্রথম দিনের খেলা শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যক্তিগত এক রান যোগ করতেই পূর্ণ হয় অপেক্ষার মাইলফলক। ২১৪ বল মোকাবিলা করে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে দাঁড়িয়ে যান বিশ্বের মাত্র ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে যারা শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করার বিরল রেকর্ড গড়েছেন।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ছিলেন আবেগঘন এক মুশফিক। নিজের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেঞ্চুরিটি যাদের নাম করে রাখলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েই আবেগ ছুঁয়ে যায় তাকে।

প্রয়াত দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে স্মরণ করে মুশফিক বলেন, "তারা (দাদা-দাদী ও নানা-নানী) যখন বেঁচে ছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে তারা যখন অসুস্থ ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে তারা বলেছিলেন, ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হলেও আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই।"

এরপর নিজের সাফল্যের পেছনে তাদের অবদান কতটা গভীর, তা ব্যাখ্যা করেন বাংলাদেশ দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার।
তাদের আশীর্বাদই তাকে এগিয়ে নিয়েছে  বলে তিনি যোগ করেন, "খুব কম নাতি-নাতনিদের ভাগ্যে এমনটা জোটে। তাদের দোয়াতেই আমি আজকে এই পর্যায়ে। আরও অনেক মানুষের অবদান আছে। তবে বিশেষ এই অর্জন তাদেরকেই উৎসর্গ করতে চাই।"

মুশফিক শুধু পারিবারিক শিকড় নয়, নিজের ক্রিকেটজীবনের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ স্ত্রীকে নিয়েও কথা বলেন।
স্ত্রীর ত্যাগ ও সহায়তার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন,
"সবচেয়ে বড় স্যাক্রিফাইস, আমার স্ত্রী যেই সাপোর্ট করেছে। আমি অন্য অনেকের চেয়ে বেশি প্র‍্যাকটিস করি, স্ত্রী সাপোর্ট না দিলে সেটা সম্ভব হত না। রাত জেগে বাচ্চাদের মানুষ করেছে, আমাকে কোন চাপ নিতে দেয়নি। তার সামনে এটা বলা হয়নি, সেটা নিয়ে অভিযোগও আছে। তাকে ধন্যবাদ।"

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আপন মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচটি সেই ইনিংসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন,
"যে ম্যাচে আমি প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছি, সেটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় মোমেন্ট। যে ইনিংসের পর অনেকেই বিশ্বাস করেছে ডাবল সেঞ্চুরি করা সম্ভব।"