বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান

বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
আবারও টস হারলেন লিটন দাস, আরব আমিরাতের পর এবার পাকিস্তান কাছেও সিরিজ হারের দুয়ারে বাংলাদেশ। ১-০'তে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে ব্যাট করে পেল আগের ম্যাচের মতোই ২০১ রানের বড় সংগ্রহ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ২০২ রানের রেকর্ড টার্গেট টপকে লিটন দাসের দল সিরিজ হার এড়াতে পারে কি-না এটাই এখন দেখার।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজে টিকে থাকার জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও বোলিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টির একাদশে জায়গা পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ থাকেন উইকেটশূন্য, রিশাদ হোসেন ১ উইকেট নিতে গিয়ে রান দিয়েছেন ৫০। পায়ে চোট পাওয়ায় মাত্র ৩ বলে করতেই মাঠ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব শিকার করেন ২টি করে উইকেট। শেষ ৫ ওভারে অবশ্য ৪০ রান করতে গিয়ে পাকিস্তান হারায় ৩ উইকেট।
অভিজ্ঞ ওপেনার ফখর জামানের জায়গায় এসেছেন সাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই পাকিস্তানের বোর্ডে রান চলে আসে ৬৭। শুরুতে অবশ্য দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইম আইয়ুব রান আউটের শিকার হন। এরপর সাহিবজাদা ফারহানের সাথে ঝড় তুলেন তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস।
২৯ বল খেলে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করেন ফারহান। অবশেষে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা মিলল ১১তম ওভারে। তানজিম হাসানের বলে পয়েন্টে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে যান ২৫ বলে ৪১ রান করা মোহাম্মদ হারিস। দুইবার জীবন পেয়ে তৃতীয়বারের মাথায় ক্যাচ তুলে আউট হওয়া সাহিবজাদা ৪ চার আর ৬ ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন ৭৬ রান।
সাহিবজাদা আর মোহাম্মদ হারিসের ১০৩ রানের অনবদ্য জুটির পর হাসান নওয়াজ এক পাশে দাঁড়িয়ে ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলিং অর্ডার। এদিন অধিনায়ক সালমান আলি আগা অবশ্য ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭ রান করে আউট হন শাদাব খান। ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা হাসান নওয়াজ ২৬ বল খেলে করেন ৫১ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান পায় আগের ম্যাচের সমান ২০১ রান।
৪ ওভারে ৪৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তানজিম হাসান সাকিব সমান ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় পেলেন ২ উইকেট।