হতাশায় ব্যাট ছুঁড়ে মারেন, তবুও তাওহীদ হৃদয়কে দোষ দিচ্ছেন না লিটন

হতাশায় ব্যাট ছুঁড়ে মারেন, তবুও তাওহীদ হৃদয়কে দোষ দিচ্ছেন না লিটন
হতাশায় ব্যাট ছুঁড়ে মারেন, তবুও তাওহীদ হৃদয়কে দোষ দিচ্ছেন না লিটন
বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এক ম্যাচে হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিকরা। নিজের ১০০তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ অধিনায়ক লিটন দাস। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটনের কণ্ঠে শোনা গেল হতাশা। নিজের আউটের ব্যাখ্যায়,'রেগে থাকায় আউট হয়নি', তবে তাওহীদ হৃদয়েরর কান্ডে লিটন সন্তুষ্টও না।
হাসান আলির আগের বলে লিটনের সিঙ্গেলের ডাকে সাড়া দেননি নন স্ট্রাইকে থাকা তাওহীদ হৃদয়। পরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি, মিড অনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের সহজ ক্যাচ নেন হারিস রউফ। হতাশায় পিচে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন, প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৯ বলে করেন ৬ রান।
নিজের আউটের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লিটন দাস বললেন,'না, এমন না (রেগে থাকায় আউট)। ক্রিকেটে আপনার বেসিক জিনিসগুলো করতে হবে। এটা (রান নেওয়া) তো বেসিক। এই মুহূর্তে আমরা মৌলিক কাজগুলো অনুসরণ করছি না। আপনি যদি ব্যাক টু ব্যাক দুটি উইকেট দেখেন, আমরা দুটি রান নেইনি। আমি এটিকে দোষ দিচ্ছি না। তবে আমাদের এদিকে মনোযোগ দিতে হবে।'
প্রথম ২ ওভারে ৩২ রান, পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৪। বিনা উইকেটে ৪৪ রানে থাকা বাংলাদেশ ৫৬ পর্যন্ত যেতে যেতে হারায় ৫ উইকেট। এরপর ৭৭/৭–এর দলে পরিণত হয়ে শেষ পর্যন্ত থামলো ১৪৪ রানে। শেষদিকে একা হাতে ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে তানজিম হাসান সাকিব কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পারেন।
ইনিংসের শুরুটা দারুণ করলেও মাঝপথে থেমে যান ওপেনার তানজিদ তামিম। মাত্র ১৯ বল খেলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৩৩ রান। তামিমের আউট থেকে শুরু করে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে লিটনের বক্তব্য, 'যে-ই ভালো ব্যাটিং করে, তার উচিত ইনিংস এগিয়ে নেওয়া। তার ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হবে। চতুর্থ ওভারের পর আর ভালো ব্যাটিং করিনি। টানা উইকেট পড়েছে।'
আগামী রোববার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি। আরব আমিরাত থেকে জয়ের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ দল দেশে ফেরার আগে বাকি থাকা এক ম্যাচে যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে চায়।