মিরাজ ভাই আমাকে বলছিল, তুই থাক: তানজিম সাকিব

রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। ভালো শুরু করেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে হেরেছে ৫৭ রান। তানজিদ তামিম এবং তানজিম সাকিব ছাড়া সব ব্যাটার ই হয়েছেন ব্যর্থ।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বড় রান তাড়া করার জন্য আত্মবিশ্বাসী তানজিম সাকিব। তার মতে, উইকেট ধরে রাখতে পারলে ২০০ রান তাড়াও কঠিন কিছু নয়। ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এসে হারের কারণ হিসাবে তিনি বলেন,
 
"এই উইকেটে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব। পিএসএলেও দেখা গেছে, এমন রান তাড়া হয়। প্রথম ম্যাচেও লিটন ভাই যতক্ষণ ছিলেন, আমরা খেলায় ছিলাম। কিন্তু আমরা বারবার ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছি।"

ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারানোর বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তানজিম বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে যে দল ১০ উইকেট নিতে পারবে, তারাই বেশি জিতবে। তাই আমাদের ব্যাটারদের উচিত উইকেট ধরে খেলা, আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা।”

সাম্প্রতিক ম্যাচে নিজের প্রথম ফিফটি করলেও জয় এনে দিতে পারেননি। যদিও সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তখন খুব বেশী কিছু করার ছিলোনা। তার ব্যাটিং পরিকল্পনা ছিল মূলত মিরাজকে সাপোর্ট দেওয়া। তিনি বলেন, “মিরাজ ভাই বলছিলেন, ‘তুই থাক, তাহলে ম্যাচ বের করে আনতে পারব।’ আমি স্ট্রাইক রোটেট করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলি। ২০০ রান তাড়া করতে গেলে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।”

দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তানজিম বলেন, “দলের সবাই প্রমাণিত খেলোয়াড়। হয়তো কিছুটা ছন্দের বাইরে আছে, কিন্তু আমি আমার টিমমেটদের উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। আশা করি তারা দ্রুত কামব্যাক করবে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারানো। যখন এটা ঘটে, তখনই আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে যাই।”

ম্যাচ চলাকালীন মাত্র ৩ বল করেই শরিফুল ইসলাম ইনজুরিতে পরেন। এতে দলের পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, “লিটন ভাই ইনজুরির পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলেছেন। অকেশনাল বোলারদের সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন। আমি ব্যাটিংয়ে মিরাজ ভাইকে সাপোর্ট দিয়েছি। হাসান ভাইয়ের সঙ্গে প্ল্যান ছিল—যদি বল স্লটে পাই, তাহলে শট খেলব।”