রাজনৈতিক সংবেদনশীলতায় সংহতি, হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় অধিনায়ক ও পাকিস্তান কোচের
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগেআপডেট: 6 মিনিট আগে- 1
অবসরের পরেও মাঠে, প্রশ্নের মুখে মুশফিক-রিয়াদ : প্রশ্নবিদ্ধ ক্রিকেট নীতি ও নৈতিকতা
- 2
নেওয়াজকে বিশ্বসেরা বললেন পাক কোচ, কূটনৈতিক জবাব দিলেন ভারতীয় কোচ
- 3
জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়
- 4
রবিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারালো ঢাকা মেট্রো, বগুড়ায় পরিত্যাক্ত রংপুর-সিলেট ম্যাচ
- 5
বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু করলেন সাইমন টফেল

রাজনৈতিক সংবেদনশীলতায় সংহতি, হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় অধিনায়ক ও পাকিস্তান কোচের
রাজনৈতিক সংবেদনশীলতায় সংহতি, হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় অধিনায়ক ও পাকিস্তান কোচের
৩৪ পেরিয়ে ৩৫-এ পা দিলেন ভারতের নতুন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। জন্মদিনে দলকে জেতানোর পাশাপাশি আলোচনায় এসেছেন ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা নিয়েও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতালেও ম্যাচ শেষে প্রচলিত হ্যান্ডশেক দেখা যায়নি, যা সাধারণত দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হয়ে থাকে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে দুই শিবির থেকে। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব স্পষ্ট জানান, এটি শুধুই ক্রীড়ার নিয়মের বাইরে রাজনৈতিক সংহতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত ছিল। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন বিষয়টিতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে সূর্যকুমার বলেন, “আমাদের এই সিদ্ধান্ত বিসিসিআই ও ভারতের সরকারি নির্দেশনামাফিক নেওয়া হয়েছে। এটা খেলাধুলার বাইরে দেশের ও মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে। আমরা পাহালগাম সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের পাশে আছি এবং এই জয় উৎসর্গ করছি আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে, যারা ‘অপারেশন সিন্ধু’-তে অংশ নিয়েছিল।”
অন্যদিকে পাকিস্তান কোচ হেসন বলেন, “ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা করেনি। আমরা তাদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা ড্রেসিংরুমে চলে যাচ্ছিল। এভাবে খেলা শেষ হওয়া হতাশাজনক।”
শুধু হ্যান্ডশেক ইস্যুই নয়, ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমার দলের কৌশলগত পরিকল্পনাও খোলাখুলি জানিয়েছেন। বিশেষ করে জসপ্রীত বুমরাহকে পাওয়ার প্লেতে ব্যবহার, হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভম দুবেকে ডেথ ওভারে রাখা এবং কুলদীপ যাদবের প্রস্তুতি—এসবই ছিল আলোচনার বিষয়।
কুলদীপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সে কঠোর পরিশ্রম করছে। ফিটনেস ও বোলিং মান অনেক উন্নত হয়েছে। বামহাতি ব্যাটসম্যানদের মোকাবিলায় বিশেষ অনুশীলন করছে। পাশাপাশি ডানহাতিদের জন্যও আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।”
টস প্রসঙ্গে সূর্যকুমারের ব্যাখ্যাও ছিল পরিষ্কার, “প্রতিপক্ষ আগে ব্যাট করবে, এটা কিছুটা অবাক করার মতো ছিল। কারণ ওই উইকেটে সাধারণত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভালো হয়। দিনের আলোয় উইকেট বোলারদের সহায়ক থাকে বলেই আমরা আগে বোলিং করতে চেয়েছিলাম।”
সব মিলিয়ে, পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে ভারতের দাপুটে জয় যেমন শিরোনামে এসেছে, তেমনি ম্যাচ-পরবর্তী রাজনৈতিক বার্তাই হয়ে উঠেছে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।