সিলেট লিগে ফিরছে বিদেশি ক্রিকেটারের আমেজ
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
সিলেট লিগে ফিরছে বিদেশি ক্রিকেটারের আমেজ
সিলেট লিগে ফিরছে বিদেশি ক্রিকেটারের আমেজ
এক সময় সিলেট ক্রিকেট লিগ ছিল দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। নব্বইয়ের দশকে এই লিগে অংশ নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার মতো তারকা। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি নিয়মিতই খেলতেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও।
তবে এসব এখন কেবল স্মৃতির অংশ। গত পনেরো বছর ধরে সিলেট ক্রিকেট তার সম্ভাবনা অনুযায়ী এগোতে পারেনি। লিগের মান একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রেলিগেশন না থাকায় প্রতিযোগিতার অভাব ছিল স্পষ্ট। জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের উপস্থিতিও ছিল না বললেই চলে। ফলে খেলাগুলো ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার বিষয়।
তবে এবার বদল আসছে সিলেটের ক্রিকেটে। নবগঠিত এডহক কমিটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সিলেট লিগের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। এই লক্ষ্যেই তারা তৈরি করছে একটি নির্দিষ্ট ক্রীড়া ক্যালেন্ডার, যাতে সারা বছর সিলেটের মাঠগুলো খেলায় ব্যস্ত থাকে।
এডহক কমিটি তাদের প্রথম মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ‘ডিএসএ টি২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর মাধ্যমে। সোমবার টুর্নামেন্টের জার্সি ও ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইমরান আহমেদ চৌধুরী জানান, লিগে রেলিগেশন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটারদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, “আমরা চাই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ও স্থানীয় খেলোয়াড়রা একসাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে খেলুক, এতে তরুণরা শিখতে পারবে। আর রেলিগেশন থাকলে প্রতিযোগিতা বাড়বে—সব ক্লাবই শক্তিশালী দল গড়বে।”
বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক সময় সিলেট লিগে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অনেক তারকা খেলতেন। সেই ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। বিসিবির অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী ক্লাবগুলো চাইলে বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে, আমরা সেই সুযোগ করে দেব।”
সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল রাখতে একটি বছরব্যাপী ক্রীড়া ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কবে কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সেটা জানলে খেলোয়াড়রা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে পারবে বলে মনে করেন এই ক্রীড়া সংগঠক।
অনুষ্ঠানে এডহক কমিটির আরেক সদস্য, সাফজয়ী ফুটবলার সাহাজ উদ্দিন টিপু বলেন, “সিলেটের মাঠ আর ফাঁকা থাকবে না। আমরা সারা বছর মাঠে খেলা রাখব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।”