শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকাকে জেতালেন শুভাগত, ঢাকা মেট্রোর জয়ের নায়ক নাইম
শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকাকে জেতালেন শুভাগত, ঢাকা মেট্রোর জয়ের নায়ক নাইম
শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকাকে জেতালেন শুভাগত, ঢাকা মেট্রোর জয়ের নায়ক নাইম
ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির (এনসিএল টি-টোয়েন্টি) প্রথম ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ৩১ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ১৯২ রানের জবাবে ১৬১ তেই আঁটকে যায় বরিশাল। অপর এক রানবন্যার ম্যাচে শেষ বলে ৬ মেরে সিলেটের বিপক্ষে ঢাকাকে জয় উপহার দেন শুভাগত হোম।
বুধবার সিলেট একাডেমি মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে ঢাকা মেট্রোর হয়ে দারুণ সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার ইমরানুজ্জামান এবং অধিনায়ক নাইম শেখ। ১১৯ রানের জুটি ভেঙে ৩৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নাইম। ইমরানুজ্জামান করেন ৩৩ বলে ৫৩ রান।
শেষ দিকে আনিসুল ইসলাম ১৫ রানে আউট হলে তাহজিবুল ইসলামের ৩৬ এবং আবু হায়দায় রনির ১৫ রানের ক্যামিওতে ১৯২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা মেট্রো। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে বরিশালের হয়ে ২ টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান।
১৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। তারপর দলের হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। রাব্বিকে সঙ্গ দেন আহরার আমিন। তিনি খেলেন ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস।
৪ চার ও ৫ ছয়ে ৫২ বলে ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হন রাব্বি। শেষ দিকে ৩২ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহাগ গাজী। তবে ইনিংস গুলো যথেষ্ট ছিলোনা জয়ের জন্য। তাই নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬১ তেই থামে বরিশালের ইনিংস। ঢাকা মেট্রোর হয়ে ৩ টি উইকেট শিকার করেন রাকিবুল হাসান।
অন্য ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে আগে ব্যাট করে ২০৫ রান তোলে সিলেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন জিশান আলম। ৫৩ বলে শতক হাঁকিয়ে আউট হন এই ক্রিকেটার। তার ইনিংসে ছিলো ৪ টি চার ও ১০ টি ছয়। অন্য ওপেনার তৌফিক খান তুষার করেন ১৭ বলে ২৯ রান।
শেষ দিকে অমিত হাসানের ২৬ এবং অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বির ৩০ রানে ২০৫ রানের পাহাড় সংগ্রহ করে সিলেট। ঢাকার হয়ে ২ টি উইকেট পান নাজমুল অপু।
২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামলে অধিনায়ক সাইফ হাসান শূন্য রানে বিদায় নিলে ঢাকাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন আরিফুল ইসলাম। ৪৬ বলে ৯৪ রান করে ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ নিয়ে আউট হন এই ব্যাটার।
শেষদিকে মাহিদুল অঙ্কন ও শুভাগত হোমের ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা বেঁচে ছিলো ঢাকার। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার দরকার ছিলো ১২ রানের। প্রথম ৩ বল থেকে আসে ২ রান। চতুর্থ বলে ৪ চার, পঞ্চম বলে আবার ১ রান। তখন শেষ বলে ঢাকার দরকার ৫ রানের। তখন তোফায়েল আহমেদকে লং অফের উপর দিয়ে ৬ মেরে ঢাকাকে ম্যাচ জেতান শুভাগত হোম। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩১ রানে।