রিশাদ, ফিজদের দারুণ বোলিংয়ে অল্পতেই শেষ শ্রীলঙ্কা
রিশাদ, ফিজদের দারুণ বোলিংয়ে অল্পতেই শেষ শ্রীলঙ্কা
রিশাদ, ফিজদের দারুণ বোলিংয়ে অল্পতেই শেষ শ্রীলঙ্কা
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আজ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ দল। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি। সাকিব আল হাসান বল হাতে নিস্প্রভ থাকলেও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন অনবদ্য। ৪-০-১৭-৩, ৪-০-২২-৩; মুস্তাফিজ, রিশাদ হোসেনের এই বোলিং ফিগারগুলো রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে বাংলাদেশকে ১২০ বলে করতে হবে ১২৫ রান।
প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৩ রান করা শ্রীলঙ্কা পরের ৪ ওভারে করতে পারে কেবল ২১ রান, এরমাঝে হারায় আরও এক উইকেট। ১০ ওভারে ৭৪/৩ স্কোরবোর্ড থেকে ২০ ওভারে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ১২৪ রানে।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্য পক্ষে এসেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। আগে ব্যাট করতে পাঠান লঙ্কানদের। তানজিম হাসান সাকিবকে দিয়ে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংস শুরু। প্রথম ওভারে ১ বাউন্ডারিতে মোট ৫ রান খরচ করেন সাকিব। পরের ওভার করতে এসে সাকিব আল হাসান হজম করেন দুই বাউন্ডারি।
তৃতীয় ওভারে বল হাতে তাসকিন আহমেদের আগমন। ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচে ফেরা তাসকিন ওভারের প্রথম দুই বলে কুশল মেন্ডিসের কাছে দিয়েছেন দুই চার। পরের বলেই প্রতিশোধ, বোল্ড করে ফেরান লঙ্কান ওপেনারকে। আর তাতেই ভাঙে ২১ রানের উদ্বোধনী জুটি। সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে পাথুম নিসাঙ্কার কাছে পাত্তাই পাননি। ৬ বলের মধ্যে নিসাঙ্কা বাউন্ডারি নেন ৪টি। দুই ওভার করা সাকিব এরমধ্যেই খরচ করে ফেলেছেন ৬ চারে ২৪ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানকে অ্যাকশনে আনতেই বাংলাদেশ পায় সাফল্য। প্রথম ডেলিভারিতেই ফিজের শিকার ৪ রানে থাকা কামিন্দু মেন্ডিস। ২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহে ৫৩ রান। ইনিংসের ৮.৪ তম ওভারে মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৭ রানে পোঁছানো নিসাঙ্কা পরের বলেও বড় শট খেলার চেষ্টায় হারিয়েছেন উইকেট। ফিফটির খুব কাছে থেকে লঙ্কান বিধ্বংসী ওপেনার পথ ধরেন সাজঘরের। কভারে থাকা শান্ত লুফে নেন পাথুম নিসাঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
ফের একবার মুস্তাফিজ ব্রেকথ্রু এনে দিলেন দলকে। ২৮ বলে ৪৭ রান করা নিসাঙ্কা ৭ চারের সাথে এদিন ছয় পেয়েছেন একটি। টানা দুই ওভারে ফিজের ঝুলিতে যায় দুই উইকেট। এরপর চারিথ আসালাঙ্কা আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে টানতে থাকেন দলের সংগ্রহ। ১৪ ওভারে একশো রান ছুঁয়ে ১৫ তম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারান চারিথ আসালাঙ্কা। রিশাদ হোসেনের বল ক্যাচ হন সাকিবের হাতে, এর আগে ২১ বল খেলা আসালাঙ্কা করেন ১৯ রান।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা পেয়েছেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। ঘূর্ণি সামলাতে ব্যর্থ হাসারাঙ্গা স্লিপে সৌম্যর হাতে হয়েছেন সহজ ক্যাচ। রিশাদের ব্যাক টু ব্যাক শিকারে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ হয়ে যায় লঙ্কান মিডল অর্ডার। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এসে তা রুখে দেন। কোটার ওভার শেষ করতে এসে ফের প্রথম ডেলিভারিতেই রিশাদের ঝুলিতে উইকেট। এবার বলের লাইন মিস করে লিটনের দৃঢ়তায় স্টাম্পড হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা দাসুন শানাকা বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেট। তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ হন লিটন দাসের গ্লাভসে। ফেরার আগে ৭ বল খেলা শানাকার রান কেবল ৩। ফিজ নিজের তৃতীয় শিকার বানান মাহিশ থিকশানাকে। ৪-০-১৭-৩; এই বোলিং ফিগারে মুস্তাফিজ শেষ করেন তার কোটা। ইনিংসের শেষ ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ফিরিয়ে তানজিম সাকিব পান উইকেটের দেখা। ১৯ বলে ১৬ রান করে ম্যাথুস ফিরলে শ্রীলঙ্কা হারায় তাদের ৯ম উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।