তানজিম সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, প্রোটিয়ারা থামল অল্পতেই
তানজিম সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, প্রোটিয়ারা থামল অল্পতেই
তানজিম সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, প্রোটিয়ারা থামল অল্পতেই
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও হেনরিখ ক্লসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে চড়ে নিউইয়র্কের কঠিন উইকেটে বাংলাদশকে ১১৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবার রাতে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে তানজিম সাকিবকে পরপর দুটো ওভার বাউন্ডারি ও বাউন্ডারি মারেন কুইন্টন ডি কক। প্রথম ওভারের শেষ বলে তানজিম সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ডাকের স্বাদ পান রিজা হেনড্রিকস ।
২য় ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের ৩য় ও তানজিম সাকিবের ব্যক্তিগত ২য় ওভারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কুইন্টন ডি কক ফেরেন। ডি কক করেন ১১ বলে ১৮ রান। তার ইনিংসে ছিলো ২ টি ছক্কা ও ১ টি চারের মার।
পরের ওভারে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেন তাসকিন। কোন রান যোগ না করেই সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে তানজিম সাকিবের তৃতীয় শিকার হন ট্রিস্টান স্টাবস। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাড়ায় তখন ২৩ রানে ৪ উইকেট।
এরপর হেনরিখ ক্লাসেন আর ডেভিড মিলার মিলে ভালো ভাবেই সামলে নেন শুরুর ধাক্কা। দেখেশুনে ব্যাট চালানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই তারা চড়াও হচ্ছিলেন টাইগার বোলারদের উপর। মাহমুদউল্লাহর বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাস ক্যাচ মিস না করলে এই জুটি আরো আগে ভাঙতে পারতো।
তবে শেষ পর্যন্ত মিলার ও ক্লাসেনের ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন, আউট করেন ক্লাসেনকে। বিদায়ের আগে এই ব্যাটার করেন ৪৪ বলে ৪৬ রান। ক্লাসেনের বিদায়ের পরে লেগ স্পিনার রিশাদের শিকার হন ডেভিড মিলার। তিনি খেলেন ৩৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়দের সংগ্রহ দাড়ায় ১১৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। তাসনিক ১৯ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। কিছুটা খরুচে বিশাদ ৩২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি।