বিশ্বকাপ থেকে লিটনের পারফরম্যান্সে গলদ দেখছেন পাপন
বিশ্বকাপ থেকে লিটনের পারফরম্যান্সে গলদ দেখছেন পাপন
বিশ্বকাপ থেকে লিটনের পারফরম্যান্সে গলদ দেখছেন পাপন
লিটন কুমার দাসের কাছ থেকে যা আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট তা পাচ্ছে না। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আশানুরূপ কোনো পারফর্ম করতে পারেননি লিটন। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের পর স্কোয়াড থেকেও বাদ পড়েন। পরাজিত হওয়া টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য হাতে ফিরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে লিটনের প্রসঙ্গে কথা বলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বেশ সরাসরি বললেন। সর্বশেষ ওডিআই বিশ্বকাপ থেকে লিটনের পারফরম্যান্সে ‘গলদ’ দেখছেন তিনি। লিটনের আউট হওয়ার ধরন, পছন্দ হওয়ার মতো নয়। তিনি বাজে শট খেলে আউট হচ্ছেন বারবার। যা সর্বশেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা যায়।
বোর্ড সভাপতি বলেন, “ওর পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ থেকেই মনে হয়েছে কিছু একটা গলদ আছে। সে কিন্তু ওয়ানডে থেকেও বাদ পড়েছে। ওর মত একজন ওপেনার। যাকে আমরা এতদিন ধরে খেলিয়ে এসেছি, যার উপর আমরা নির্ভর করেছি। সেও পারফর্ম করেছে, এমন তো না যে খেলা পারে না। বিউটিফুল প্লেয়ার। কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে এজন্য আমরা তাকে ওয়ানডে থেকে ড্রপও করেছি।“
“এর চেয়ে বেশি বড় সিগন্যাল তো আর কিছু হতে পারে না। এটার সাথে অধিনায়কত্বর সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। টেস্ট ম্যাচটাতেও না খেলালে আমার মনে হয় ভালো হত। তখন আবার আপনারা বলতেন টেস্টে তার এমন রেকর্ড, এই সেই, ওরে কেন বাদ দিল এমন হুলুস্থুল একটা খামাখা মানুষ করত। ওকে একটা ব্রেক দিলে সে ভালোভাবেই কামব্যাক করে আসতে পারত। আরেকটু কিছু দিন সময় যদি ব্রেক দেওয়া হত।“
লিটনের কাছে ছিল লাল বলে অধিনায়কের দায়িত্ব। কিছুদিন আগে নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন সংস্করণে নেতৃত্ব দিয়েছে বোর্ড। তাই কথা প্রসঙ্গে আসে, লিটনের অধিনায়কত্ব সরে যাওয়ার সাথে পারফরম্যান্সের কোনো সংযোগ আছে কি না। যদিও বোর্ড সভাপতি সেরকমটি মনে করছেন না।
সিরিজের আরো একটি ম্যাচ বাকি আছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে। সেই হার থেকে ফিরে আসতে পারবে কি না দল, তা এক প্রশ্ন। সিলেটের পর পরের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। লিটনের ওডিআই ‘ব্রেক’ নিয়ে কথা হয়। প্রসঙ্গক্রমে বাড়ে বিরতি কি তাঁর আরও প্রয়োজন কি না।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, “ব্রেক তার দরকার। এজন্যই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্যই তাকে ব্রেকে পাঠানো হয়েছিল। সমস্যা হচ্ছে, ওর যে টেস্টের পরিসংখ্যান সে যে রান করে গেছে, ভালো করেছে। সেটাও তো ফেলে দেওয়ার মত না। আমরা জানি এখানে ব্রেক দরকার। একটা ব্রেক দিলে সে কামব্যাক করবে। তার চেয়ে বড় কথা যেহেতু মুশফিক আর সাকিব নেই আবার লিটন দাসও নেই সবকিছু চিন্তা করেই ওকে রাখা হয়েছিল।“