মনোবিজ্ঞানের ছাত্র বার্গার, খেলার কথা ছিল না ক্রিকেট
মনোবিজ্ঞানের ছাত্র বার্গার, খেলার কথা ছিল না ক্রিকেট
মনোবিজ্ঞানের ছাত্র বার্গার, খেলার কথা ছিল না ক্রিকেট
নান্দ্রে বার্গার ক্রিকেট খেলতে চাননি। বরং লেখাপড়া করতে চেয়েছেন। লেখাপড়ার জন্যই ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে খেলাধুলা অর্থাৎ ক্রিকেট খেললে বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ ছিল। আর সেই সুযোগই গ্রহণ করেছেন বার্গার।
ইউনিভার্সিটি অব দ্য উইটওয়াটারস্র্যান্ড, যেখানে মনোবিজ্ঞানে মেজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন বার্গার। তার ক্রিকেট খেলার কথাও ছিল না। তিনি ২০১৪ সালে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটাই তার জীবন পরিবর্তনকারী হয়ে দেখা দেয়।
এখন বার্গারের বয়স ২৮ বছর। দক্ষিণ আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ ফাস্ট বোলারে পরিণত হয়েছেন। খেলেন ৩ সংস্করণের ক্রিকেট। তিনি এসএ টোয়েন্টিতে জোবার্গ সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন গত মাসে। এবং এই সপ্তাহের শুরুতেই আইপিএলে অভিষেক হয়েছে এই প্রোটিয়া বোলারের। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে চলমান আইপিএলে অংশ নিয়েছেন বার্গার।
বার্গারের বয়স যখন ১৫ বছর, তখন বয়স-ভিত্তিক দলের আঞ্চলিক টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন বার্গার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াশ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপও খেলেছেন। তবে তার পিঠের চোট, যা তাকে ক্রিকেটে মনোযোগী করে তোলে।
বার্গার বলেন, “শুনতে অবাক লাগে, তাই না!”
“উইটস (বিশ্ববিদ্যালয়) একটি ফুল ফ্রি স্কলারশিপের সুযোগ করে দেয়, যারা ক্রিকেট খেলতে জানে। আমার মনে হলো, এটা তো ভালো। আমি ক্রিকেটার হতে চাইনি। কিন্তু আমি বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, তখন মনে হলো কেন না? ক্রিকেটটা মূলত আমার একাডেমিকের ব্যাক-আপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। (হাসি)”
বাঁহাতি বোলার বার্গার, তিনি তখন চোট থেকে ফিরেছেন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় কোচ নিল লেভেনসন চিন্তা করলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যৎ ফাস্ট বোলার হওয়ার সক্ষমতা আছে বার্গারের। তখন বার্গারের বয়স কেবল ১৮ বছর।
তবে বার্গার তখন এমন কিছু বিশ্বাস করেননি। তিনি বলেন, “আমি প্রথমে হেসে ফেলেছিলাম। আমি মাত্র ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার গতিতে বল করি। আমি জীবন চালানোর জন্য এটা করতে পারি না। আমি দেখেছি ছেলেরা ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছে।”
এরপর জোবার্গের নেটে বল করার সুযোগ আসে বার্গারের। ২০১৬-১৭ সালের দিকে, যখন মনোবিজ্ঞানে মেজর শেষ করার আর ৬ মাসের মতো বাকি, তখন তাকে সিদ্ধান্তে আসতে হয়। কেপ কোবরাস ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে প্রথমবারের মতো তার কাছে সুযোগ আসে। আর এভাবেই বার্গারের ক্রিকেটে আসা।