দেশ ও দলের স্বার্থে শ্রীলঙ্কার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন সাকিব
দেশ ও দলের স্বার্থে শ্রীলঙ্কার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন সাকিব
দেশ ও দলের স্বার্থে শ্রীলঙ্কার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন সাকিব
২০২৩ ভারত বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘টাইমড আউটে’র ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ দল নিশ্চিত করে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট। ৩ উইকেটে জিতে পরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা জিইয়ে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপের এই ম্যাচ তখনই ক্রিকেটের ইতিহাসে ঢুকে পড়ে একটি বিরলতম ডিসমিস্যালের কারণে! যে কাণ্ডের নেপথ্যে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য যা করা দরকার ছিল সেটাই করেন অধিনায়ক সাকিব। নৈতিকতার মাপকাঠিতে বিষয়টা কতটা সঙ্গত ছিল সেদিকে না গিয়ে সাকিব দেখেছেন দেশের ও দলের স্বার্থ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথ মানেই যেন ভিন্ন উত্তেজনা! সেই নিদহাস ট্রফির নাগিন ডান্স থেকে শুরু। নাগিন ড্যান্স থেকে টাইমড আউট—এক লড়াইয়ের মাঝে ঘটে যায় আরও কত লড়াই। এই যে দুটি দলের লড়াইয়ের মধ্যে লড়াই খেলাটায় বাড়তি উত্তেজনার পারদ চড়ায়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউট; বাংলাদেশ দল মোটেই খেলার নিয়মবিরুদ্ধ কিছু করেনি।
বঙ্গ বিডির 'সাকিব আল হাসান, বিশ্বকাপ স্পেশাল' শোতে সাকিব নিজে আরও একবার দাবি করেছেন,
'এটার (ম্যাথুসকে টাইম আউট করা) পর বাংলাদেশের অনেকে বলেছে, এটা ইসের (স্পিরিট) বাইরে। আমি বলি আজকে যদি এই ম্যাচে এটা না হত, বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলত না। আর সেই জায়গায় এদের তখন আসে নীতির কথা। আসল সময়ে বাংলাদেশে নীতির কথা কমই আসে। দেখানো নীতিতে বিশ্বাসী আমরা।'
'মা শা আল্লাহ, আমাদের সবচেয়ে বড় রাইভালরি শ্রীলঙ্কার সাথে তৈরি হয়েছে। এবং আমার কাছে মনে হয় ওটা থেকেই শুরু। ওর আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কানরা আমদের সাথে খুবই ফ্রেন্ডলি ছিল, আমাদের সম্পর্কটা খুবই মধুর ছিল। ওরা সবসময় আমাদেরকে সাপোর্ট করত, ওদের দর্শকরা। তবে এর পর থেকে এটার পরিবর্তন এসে গেছে।'
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শুরুর ম্যাচই খেলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ১২০ বলে দরকার ১২৫, লঙ্কানদের হারাতে সহজ টার্গেট। এমন সহজ ম্যাচ বেশ কঠিন করেই জিততে হল বাংলাদেশ দলকে। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কড়া ঝাঁজ।