জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় যেভাবে কাটিয়ে ফিরলেন সাকিব
জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় যেভাবে কাটিয়ে ফিরলেন সাকিব
জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় যেভাবে কাটিয়ে ফিরলেন সাকিব
বাংলাদেশের রাস্তায় চলার উপায় সাকিব আল হাসান শিখেছিল ২০১৪ সালে। যে নিষেধাজ্ঞা বুঝিয়ে দিয়েছিল অন্যরকম সাকিব হয়ে ওঠতে। এর আগে সাকিবের ভাবনা জুড়ে ছিল কেবল ক্রিকেট, ক্রিকেট আর ক্রিকেট। তবে সাকিবের ক্যারিয়ারের বাঁকবদল এই ১৪'তেই। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব ছিলেন চরম হতাশায়, তার চোখে এটিই জীবনের কাটিয়ে আসা সবচেয়ে খারাপ সময়। এরপর অতুলনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন আধুনিক ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটারদের একজন হিসেবে।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে অসদাচরণ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেটে ৬ মাস নিষিদ্ধ হন তিনি। এছাড়া পরবর্তী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে খেলার জন্য তাকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না দেয়ারও ঘোষণা দেয় বিসিবি। অবশ্য পরবর্তীতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে একই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ চলার সময় ড্রেসিং রুমে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে তিন মাচে নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব।
২০১৪ সালে কাটানো দুঃখজনক ও কষ্টকর সময়ের বর্ণনা সাকিব দিয়েছেন বঙ্গ বিডির 'সাকিব আল হাসান, বিশ্বকাপ স্পেশাল' শোতে,
'ঐ জিনিসটা (২০১৪ সালে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা) থেকে শিক্ষা যদি বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে চলতে হয় ওটা শিখেছি ঐ নিষেধাজ্ঞার পর থেকে। এর আগে থেকে জানতাম, এই আমার ফোকাস, এটা আমার গোল, রাস্তা সোজা। আমি যদি এটা ফলো করি তাহলে পৌঁছে যাব। তবে এর পর থেকে আমি বুঝেছি যে না, এখানে সোজা বলতে কিছু নাই। ওর আগে আমার অন্য কিছুতে ফোকাস ছিল না, ক্রিকেট ছাড়া। ওর পর থেকে আমি প্ল্যান করা শুরু করি একটু একটু করে। ওর আগ পর্যন্ত আমি কিচ্ছু জানতাম না ক্রিকেট ছাড়া।'
'আমার জন্য হতাশার ছিল যেটা, এখন যেটা মনে করতে পারি যে আমি খেলতে পারছিলাম না। যেটা ছিল সবচেয়ে বড় হতাশা। প্রথমবার জীবনে যে ত বড় খারাপ সময়। প্রথম এক সপ্তাহ হরিবল। এর পর থেকে আস্তে আস্তে একটু বেটার হতে থাকে। তারপর কীভাবে ব্যাক করা যায়, ডিসিশন চেঞ্জ করা যায় এগুলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে... তারপর পরিবর্তন যখন হয় তখন তো খেলা শুরু করলাম।'