ভারতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ভারতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ভারতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ, ভারতের জন্য টার্গেট ৯৫ রান। এমন সহজ লক্ষ্য টপকাতে ভারতের লাগে কেবল ১৭.২ ওভার। প্রথম তিন দিন বৃষ্টি হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হবে বলে অনেকেই মনে করেছিল। কিন্তু এই ম্যাচেও বাজে ভাবে হারতে হলো বাংলাদেশকে। চেন্নাই থেকে কানপুর; কোথাও পাত্তা পেল না নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
টেস্টে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করা বাংলাদেশ এবার ভারতের কাছে পেল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। ভারত সফরে এসে পরপর দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দেখলো লজ্জার হার। চেন্নাই টেস্টে ভারতের ২৮০ রানের জয়, কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে রোহিতদের নিশ্চিত হলো ৭ উইকেটের বড় জয়।
কানপুর টেস্টের পঞ্চম দিনের সকালেই ধ্বসে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস, জয়ের জন্য ভারত পায় কেবল ৯৫ রানের টার্গেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই অবশ্য ব্রেকথ্রু। ৮ রানে থাকা রোহিত শর্মাকে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ বানালেন মিরাজ। পরপর দুই ইনিংসে মিরাজের ডেলিভারিতেই উইকেট হারিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে রোহিতকে।
মিরাজ দ্বিতীয় শিকার করেন তিনে নামা শুবমান গিলকে। আম্পায়ার লেগ বিফোরের আবেদনে আঙুল উঁচিয়ে আউট দেন, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে ৬ রানে থাকা গিল। দলীয় ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। তবে ব্যাট হাতে অপরপ্রান্তে দাপট দেখাতে থাকেন টিকে যাওয়া ওপেনার ইয়াশভি জাইসাওয়াল। তাকে সঙ্গ দিতে আসা ভিরাট কোহলিও খেলতে থাকেন বেশ স্বাচ্ছ্যন্দে।
চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৬ রান। পঞ্চম দিনের সকালের সেশনেই বাংলাদেশের বাকি ৮ উইকেট নিয়ে নেয় ভারতীয় বোলাররা। সকাল থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলামের ফিফটি ও মুশফিকুর রহিমের ৩৭ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতেই পারেনি ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের সামনে। বিশেষ করে অশ্বিন-জাদেজার ভেলকির কাছে দ্বিতীয় ইনিংসে আত্মসমর্পণ করে টিম টাইগার্স।