বৃষ্টি ও নামিবিয়া বাঁধা পার করে সুপার এইটে ইংল্যান্ড
বৃষ্টি ও নামিবিয়া বাঁধা পার করে সুপার এইটে ইংল্যান্ড
বৃষ্টি ও নামিবিয়া বাঁধা পার করে সুপার এইটে ইংল্যান্ড
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচটি ছিলো বাঁচা মরার লড়াই। সুপার এইটে যেতে হলে অবশ্যই ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিলোনা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে। তবে দুইবার বৃষ্টির কবলে পড়া ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়েই নিয়ে ছিলো শঙ্কা। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হতো ইংলিশদের। তবে বাটলারদের কপালের চিন্তার ভাজ বন্ধ হয় বৃষ্টি থামায়।
বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলে প্রায় ৩ ঘণ্টার বিলম্বে কার্টেল ওভারে মাঠে গড়ায় ম্যাচ রাত ২ টায়। ম্যাচের মাঝপথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি বাধা টপকে নামিবিয়াকে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলো ইংল্যান্ড।
১০ ওভারে ইংল্যান্ডের করা ৫ উইকেটে ১২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়া করতে পেরেছে ৩ উইকেটে ৮৪ রান।
বৃষ্টির কারণে প্রথমে ২০ ওভারের খেলা নামিয়ে আনা হয় ১১ ওভারে। ৮ ওভার খেলা হতেই আবারো নামে বৃষ্টি। যে কারণে আরও ১ ওভার কমিয়ে তা ১০ ওভার করা হয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শূন্য রান করে ফিরে যান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ফিল সল্টের বিদায়ে প্রাথমিক ভাবে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড।
তারপর জনি বেয়ারেস্টো ও হ্যারি ব্রুক ৩০ বলে ৫৬ রানের জুটিতে ধাক্কা সামলে বড় সংগ্রহ গড়তে থাকে ইংলিশরা। ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস বেয়ারেস্টো আউট হলে জুটি ভাঙে। পরে মইন আলি আর হ্যারি ব্রুক মিলে করেন ১৩ বলে ৩৮ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ৪ বলে ১৪। হ্যারি ব্রুক অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
১২৭ রানের লক্ষ্যে (ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে) ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রান করেন মাইকেল ফন লিনজেন ও নিকোলাস ডেভিন। ১৬ বলে ১৮ রান করে ডেভিন রিটায়ার্ড হার্ট হন।
তিনে নেমে ডেভিড ভিসা ১২ বলে ২৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। আর লিনজেন করেন ২৯ বলে ৩৩ রান। শেষ পর্যন্ত নামিবিয়াকে থামতে হয় ৮৪ রানে। ইংল্যান্ড জয় পায় ৪১ রানে।
এই ম্যাচ জয়ের পরও ইংল্যান্ড দল স্বস্তিতে ছিল না, তাকিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচের ফলের দিকে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয় পাওয়ায় নেট রান রেটে স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলে সুপার এইটে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে জস বাটলারের দল।