'বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে খুব বেশি তফাত নেই'
'বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে খুব বেশি তফাত নেই'
'বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে খুব বেশি তফাত নেই'
ইতিহাস সৃষ্টি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌছে গেছে আফগানিস্তান। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত ছিলো দলটি। গ্রুপ পর্বে জিতেছে ৩ টি ম্যাচ, সুপার এইটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশকে। তাই যোগ্য দল হিসাবেই সেমিফাইনালে আফগানরা।
ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে ওঠার পরে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের অনূভুতি জানতে চাওয়া হলে ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
'আসলে আমি জানি না কীভাবে আমার অনুভূতি প্রকাশ করব। সেমিফাইনালে খেলাটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। যে ক্রিকেটটা আমরা খেলেছি টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা আসলে সেমিতে খেলাটা ডিজার্ভ করি। সবাই নিজেদের দায়িত্বটা নিয়েছে এবং দলের জন্য সেরা পারফরম্যান্সটা করে দেখিয়েছে। আমি জানি না আসলে কীভাবে ব্যাখ্যা করব। তবে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন, দল হিসেবে, জাতি হিসেবে। সেমিতে খেলা এবং মুখিয়ে আছি সেমিতে খেলতে। '
প্রথমবারের মত সেমিফাইনাল খেলবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এর আগে এত বড় সাফল্য ছিলোনা দলটার। তবে এই দলটা যে সেমিফাইনালে খেলবে এমন ভবিষ্যৎবানী শুধু একজন ই করেছিলেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী ব্রায়ন লারা। লারার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রশিদ খান বলেন,
'সেমিফাইনাল অনেক বড় অনুপ্রেরণা হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের তরুণদের জন্য। আফগানিস্তান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেছে প্রথমবারের মত, আমরা আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এটা করতে পারলেও জাতীয় দলে এবারই প্রথম। এমনকি সুপার এইটও প্রথম ছিল আমাদের জন্য। এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আমরা একজন মানুষকে সঠিক প্রমাণিত করে দিয়েছে তিনি হলেন ব্রায়ান লারা যিনি কিনা একমাত্র ব্যক্তি যিনি আফগানিস্তানকে সেরা চারে রেখেছিলেন। আমরা তাকে এটা বলেছিলাম যে, আমরা আপনাকে সত্য প্রমাণ করে দিব। একজন কিংবদন্তীর কাছ থেকে এমন কথা শুনতে পারাটা দারুণ ব্যাপার দলের জন্য। আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তবে হতাশ না হয়ে পরে আরও ভালোভাবে ফিরে এসেছি।
ক্রিকেটে পথচলা বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা কম আফগানিস্তানের। অল্প সময়ে দলটার উন্নতি চোখে পরার মত। এরজন্য রশিদ খান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে রাখছেন একই লেভেলে। তার মতে দুই দলের মধ্যে খুব বেশী পার্থক্য নেই।
'বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মাঝে আসলে খুব বেশি তফাত নেই। সাদা বলের ক্রিকেটে। আমার মনে হয় শর্টার ফরম্যাটে হয়ত আফগানিস্তানের বেশ কিছু হিটার আছে যারা কিনা বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে। বাংলাদেশও ভালো। আমি আসলে খুব বেশি তফাত দেখি না দুই দলের মাঝে। আমরা বাংলাদেশে খেলে তাদের সাথে ২ ম্যাচে হেরেছিও। এই ফরম্যাটে খুব কাছাকাছি থাকতে হবে। এমন নয় যে আমরা তাদের চেয়ে অনেক ভালো দল হয়ে গেছি। আমরা একই লেভেলে আছি। যদি সঠিক সময়ে সঠিক খেলাটা খেলতে পারেন তাহলেই ভালো দল হওয়া যায়। আমার মতে, ভালো দল খারাপ দল বলে কিছু নেই। সব দল সমান। নির্দিষ্ট দিনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানেই পার্থক্যটা হয়ে যায়। স্কিলের দিক থেকে সবাই সমান।'