Image

শেষ ওভারে সিলেটের জয়, দিপু-জয়ের ব্যাটে চট্টগ্রামের দাপট

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 1 দিন আগেআপডেট: 11 মিনিট আগে
শেষ ওভারে সিলেটের জয়, দিপু-জয়ের ব্যাটে চট্টগ্রামের দাপট

শেষ ওভারে সিলেটের জয়, দিপু-জয়ের ব্যাটে চট্টগ্রামের দাপট

শেষ ওভারে সিলেটের জয়, দিপু-জয়ের ব্যাটে চট্টগ্রামের দাপট

বৃষ্টির কারণে জাতীয় ক্রিকেট লিগের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টির সব খেলা সিলেটে স্থানান্তরিত হলেও গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শনিবার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দারুণ এক জয় পেয়েছে স্বাগতিক সিলেট বিভাগ। নিজেদের মাঠে শেষ ওভারে দুই উইকেট হাতে রেখে বরিশাল বিভাগকে হারিয়েছে জাকির হাসানের দল।


সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বরিশাল ১৪১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে ফজলে রাব্বির ব্যাটে, মাত্র ৪৪ বলে চারটি চার ও সমান ছক্কায় সাজানো ইনিংস। সিলেটের হয়ে এবাদত হোসাইন নেন তিনটি উইকেট, একটি করে উইকেট পান খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ।

১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। ওপেনার মিজানুর রহমান সায়েম, যিনি প্রায় দুই বছর পর দলে ফিরেছেন, করেন মাত্র ১১ রান। একপর্যায়ে ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে চারে নামা অমিত হাসান (৩৯) ও আসাদুল্লাহ আল গালিব (২৪) দলের ইনিংস কিছুটা স্থিতিশীল করেন।


শেষদিকে আটে নামা দুই বোলার খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান রাজা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জয় এনে দেন। রাজা ৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। খালেদের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।


বল হাতে বরিশালের মেহেদী হাসান ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান রুয়েল মিয়া, সোহাগ গাজী ও তানভীর ইসলাম।


অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা হন রেজাউর রহমান রাজা। ম্যাচ শেষে দর্শকদের মাঠে এসে খেলা দেখার আহ্বান জানান তিনি। সিলেটের এই পেস অলরাউন্ডার বলেন,“আমি একটা কথাই বলব যে, যেহেতু নিজেদের মাঠে খেলা হচ্ছে। এতো বড় একটা টুর্নামেন্ট, যেমন, এটা একটা ‘মিনি বিপিএল’ বলা যায়। তাই আশা করব যে, প্রত্যেকটা মানুষ মাঠে খেলা দেখতে আসবেন, এবং সিলেট দলকে সাপোর্ট করবেন। গ্যালারিতে দর্শক থাকলে আমরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হব। সিলেটের যারা খেলছি, আমরা একদিন বাংলাদেশ দলে খেলব এবং বাংলাদেশ দলকে বড় ট্রফি এনে দিব, ইনশাআল্লাহ।”


দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগ ৮ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রোকে। টস হেরে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে মেট্রো। ওপেনার নাঈম শেখ ৪৬, মাহফিজুল ইসলাম রবিন ৪১ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৪১ রান করেন। শেষদিকে আবু হায়দার রনি ১২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

চট্রগ্রামের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাঈম হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ রুবেল ও হাসান মুরাদ।


জবাবে চট্টগ্রামের ইনিংসটি ছিল দাপুটে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ এবং শাহাদাত হোসেন দিপু ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে মাত্র ১৬.৫ ওভারে জয় এনে দেন দলকে।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three