প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উন্নতি চান শান্ত
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উন্নতি চান শান্ত
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উন্নতি চান শান্ত
লাল বলের ক্রিকেটে আবারো হতাশ করল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে স্বাগতিকদের পারফরম্যান্সে আনন্দিত হওয়ার মতো কোনো উপলক্ষ্য নেই। পেসারদের থেকে কিছুটা স্বান্তনা নেওয়ার মতো থাকলেও, দল হিসেবে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তার সতীর্থরা।
বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া করলে আলোচনা করার মতো জায়গা পাওয়া যাবে অনেক। যেখানে ফিল্ডিংও একটি। ক্যাচ মিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিল টাইগাররা।
সিরিজে কী এমন হলো, এই প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, “ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে বলব যে সবাই যথেষ্ট অনুশীলন করে সবাই অনুশীলনে প্রত্যেকটা ক্যাচও ধরে। কেন হয়েছে এটার আন্সার নাই কিন্তু প্রস্তুতি যদি বলেন ফিল্ডিংয়ে সবাই ভালোমত প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্যাচগুলো আমরা ধরতে পারি নাই। প্রস্তুতি যদি বলেন ফিল্ডিংয়ে সবাই ভালোমত প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্যাচগুলো আমরা ধরতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে পুরা সিরিজে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। এখানে অজুহাত দেওয়ার কোনো অপশন নেই যে এই কারণে হইছে ঐ কারণে হইছে। দল হিসেবে পুরা সিরিজে ৪টা ইনিংসে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি।”
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও শান্ত জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আরো বেশি বেশি খেলার কথা। শুধু বেশি খেলা নয়, ঘরোয়ার এই জায়গাটুকু উন্নত করার প্রতিও নজর দেওয়া দরকার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
শান্ত আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন,
“প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেটটা যদি আরেকটু বেটার হয়, যেরকম কন্ডিশনে আমরা খেলব চ্যালেঞ্জগুলা যদি ফেইস করতে পারি তাহলে ভালো। আমার কাছে স্টিল মনে হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমরা যেরকম চ্যালেঞ্জ আমরা এখানে ফেইস করি ঐরকম কোয়ালিটি ম্যাচ সেখানে আমরা খেলতে পারি না আমার কাছে মনে হয়। আমাদের প্লেয়ারদের যদি আরও ম্যাচ করে খেলতে পারি যে আন্তর্জাতিকের সাথে তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। যত বেশি ম্যাচ খেলব কিছু না কিছু তো উন্নতির জায়গা থাকেই।”
পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন দলীয় অধিনায়ক। আগে বাংলাদেশ দলে পেসারদের থেকে পারফরম্যান্স খুঁজে আনা যেমন কঠিন ছিল, সেসব দিনে বদল এসেছে। আলাদাভাবে পেসারদের নাম বললেন শান্ত।
“অবশ্যই পেসাররা ৩-৪ বছর আগেও মনে হয় এরকম ছিল না। এখন টেস্টে এরকম উইকেটে উইকেট নিচ্ছে। হাসান প্রথম ম্যাচে, আগের ম্যাচে শরিফুল। এর আগে তাসকিন যখন খেলত, খালেদ দুর্দান্ত বল করেছে দুই ম্যাচে। প্রত্যেকটা বোলার এখন খেলতে চাচ্ছে যেকোনো কন্ডিশনে এবং দলকে ভালো কিছু দেওয়ার আগ্রহটা আছে যেটা খুবই ভালো দিক।”