আইসিসির চোখে জানুয়ারি মাসের সেরা জোমেল, বেথ মুনি
![আইসিসির চোখে জানুয়ারি মাসের সেরা জোমেল, বেথ মুনি](https://cricket97.com/public/storage/upload/news/original/edb5fa5c-62db-4047-80c2-1dbdef1882e0.webp)
আইসিসির চোখে জানুয়ারি মাসের সেরা জোমেল, বেথ মুনি
আইসিসির চোখে জানুয়ারি মাসের সেরা জোমেল, বেথ মুনি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানুয়ারি মাসের সেরা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এবারের পুরস্কার পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান এবং অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার বেথ মুনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন জোমেল ওয়ারিকান। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৯টি উইকেট শিকার করেছেন মাত্র ৯.০০ গড়ে, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা একটি অর্জন। প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন ওয়ারিকান। এই ম্যাচে দুইটি রানআউটেও তিনি ভূমিকা রাখেন তিনি।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ১৬৩ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। পাশাপাশি দুই ইনিংসে ৪ ও ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ৯টি উইকেট সংগ্রহ করেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২০ রানের ঐতিহাসিক জয় পায়।
ওয়ারিকান পুরস্কার জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়। আমি সিরিজের আগে আমার অধিনায়ককে বিশেষ কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমার বাবা সবসময় বিশ্বাস করতেন যে আমি অসাধারণ কিছু করব, এবং আল্লাহর রহমতে তা সম্ভব হয়েছে।"
তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে গুদাকেশ মোতির পর প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ওপেনার বেথ মুনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন ভালো করতে না পারলেও, তৃতীয় ওয়ানডেতে ৬৪ বলে ৫০ রান করে দলের স্কোর ৩০৮ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে ২১৩ রান সংগ্রহ করেন ১৪৬.৮৯ স্ট্রাইক রেটে। প্রথম ম্যাচে ৭৫ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৪ রান এবং তৃতীয় ম্যাচে ৯৪ রান (৬৩ বলে), যা গত পাঁচ বছরে তার সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর।
এই পুরস্কার জিতে উচ্ছ্বসিত মুনি বলেন, "অ্যাশেজ জেতা আমাদের দলের জন্য অসাধারণ এক মুহূর্ত ছিল, বিশেষ করে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্ট খেলা এবং রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের সামনে পারফর্ম করা আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"
গত ডিসেম্বরে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এই পুরস্কার জিতেছিলেন, যা দেখায় অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ধারাবাহিক সাফল্য।