ম্যাকগার্ক-পান্ট ঝড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জিতল দিল্লি
ম্যাকগার্ক-পান্ট ঝড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জিতল দিল্লি
ম্যাকগার্ক-পান্ট ঝড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জিতল দিল্লি
টেবিলের তলানিতে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস এখন এক ধাপ উপরে উঠেছে। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে দিল্লির এই কিঞ্চিৎ পরিবর্তন। এদিকে টানা ৩ ম্যাচ জয়ের পর পরাজিত হয়েছে লক্ষ্ণৌ। ঘরের মাটিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে লোকেশ রাহুলের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে দিল্লি।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা লক্ষ্ণৌ এর ব্যাটারদের কাছ থেকে আশানুরূপ ফল আসেনি। দুই ওপেনারের মধ্যে কুইন্টন ডি ককের ইনিংস বড় হয়নি, ফিরেছেন ১৯ রানে। তবে লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ৩৯ (২২) রান এসেছে।
দলটির পরের ব্যাটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সংগ্রহের হার খুবই কম। যেখানে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। এদিকে রাহুলের উইকেট’সহ মোট ৩ উইকেট শিকার করেছেন দিল্লি স্পিনার কুলদীপ যাদব। পরে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
দলীয় ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে লক্ষ্ণৌ, সেখান থেকে আইয়ুশ বাদোনির অপরাজিত ৫৫ (৩৫) রানের ইনিংসে কিছুটা দিশা খুঁজে পায় তারা। বাদোনির সাথে অপরাজিত ছিলেন আরশাদ খান, ১৬ বলে ২০ রানে।
দিল্লির সামনে লক্ষ্যমাত্রা খুব বেশি ছিল না। সহজে পার হয়ে যাওয়ার মতো। যা ব্যাটিংয়ে করেও দেখিয়েছে তারা। ডেভিড ওয়ার্নার দ্রুত ফিরলেও, প্রিথবি শ এর সাথে অস্ট্রেলিয়ান তরুণ জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্ক মিলে দারুণ ব্যাট চালাতে থাকেন।
ফ্রেশার ম্যাকগার্কের আইপিএল অভিষেক ম্যাচ। কিন্তু যে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে খেলেছেন, তেমনটি মনে হয়নি। ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৩ বলে ৩ ছক্কা খেলেছেন তেমন কোনো ‘এফোর্ট’ ছাড়াই। যেন লক্ষ্ণৌ এর এই মাঠ তার কত পরিচিত এক স্থান।
প্রিথবি ৩২ রানে ফিরলে, রিশাব পান্ট এসে যোগ দেন ম্যাকগার্কের সাথে। ফিফটি করেছেন ৩১ বলে, অবশেষে ৫৫ (৩৫) রানে ফিরেছেন এই অজি ব্যাটার। অন্যদিকে অধিনায়ক পান্টের ফিফটি পূরণ হয়নি। ম্যাকগার্ক ফেরার কিছু বাদেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ২৪ বলে ৪১ করে ফিরেছেন।
ট্রিস্টান স্টাবস ও শাই হোপ মিলে বাকি খেলা শেষ করেন। স্টাবস ১৫ (৯) রানে এবং হোপ ১১ (১০) রানে অপরাজিত ছিলেন। দিল্লি ম্যাচটি জিতে নেয় ১১ বল হাতে রেখেই।
লক্ষ্ণৌ এর হয়ে রবি বিষ্ণয় নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।