টাই, সুপার ওভার; নাটকীয়তা শেষে নামিবিয়ার কাছে হারল ওমান
টাই, সুপার ওভার; নাটকীয়তা শেষে নামিবিয়ার কাছে হারল ওমান
টাই, সুপার ওভার; নাটকীয়তা শেষে নামিবিয়ার কাছে হারল ওমান
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সুপার ওভার নামিবিয়া-ওমান ম্যাচে। ২০১২ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনো ম্যাচ গেল সুপার ওভারে। তবে ডেভিড ভিসার অলরাউন্ড নৈপূণ্যের দিনে শেষ হাসি নামিবিয়ার। তবে এর আগে এই ম্যাচ পাড়ি দিয়েছে রোমাঞ্চের নানা অলি-গলি। ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে বোলিংয়েও দুর্দান্ত ভিসা, তার হাতেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
নামিবিয়ার সুপার ওভারের হিরো ডেভিড ভিসা ব্যাট হাতে ৪ বলে করেছেন ১৩ রান, আর তাতেই ওমানের সামনে ২২ রানের টার্গেট। এরপর বোলিংয়ে গিয়ে ১০ রানের বেশি করতে দেননি ওমানকে, শিকার করেছেন ১টি উইকেটকে। সুপার ওভারের আগে ম্যাচেও ভিসা দখলে নেন মোট ৩ উইকেট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার ওঠে ডেভিড ভিসার হাতে।
প্রথমে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই ওমানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৯ রানে। ইনিংসের প্রথম ওভারের শুরুর দুই ডেলিভারিতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে ওমান। রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের শিকার হয়ে ওপেনার প্রজাপতি, তিনে নামা অধিনায়ক আকিব ইলিয়াসকে ফিরতে হয়েছে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে। ট্রাম্পেলম্যান নিজের পরের ওভার করতে এসে শিকার করেন আরও এক উইকেট।
এভাবেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে ওমানের। হয়েছেও তাই, এরপর বল হাতে ওমানকে ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে দেন ডেভিড ভিসা, তার দখলেও তিন উইকেট। ওমানের ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখা গেছে বার্বাডোজের মাঠে। ১১ ব্যাটারের মধ্যে কেবল ৪ জন ছুঁতে পারেন দুই অংকের ঘরে। খালিদ কাইলের ৩৪ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জিশান মাকসুদ।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নামিবিয়াও শুরুতে পড়ে বিপর্যয়ে। বিলাল খানের পেস সামলাতে না পেরে শূন্য রানে বোল্ড হন ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন। এরপর অবশ্য নিকোলাস ডেভিন আর তিনে নামা জ্যান ফ্রাইলিংক মিলে নামিবিয়ার পথ সহজ করে দেন। এই দুইয়ের জুটিতে আসে ৪২ রান। ব্যক্তিগত ২৪ রানে নিকোলাসের বিদায়ে ভাঙে জুটি। তবে ধীরগতির হলেও আস্থার সাথে খেলে যান ফ্রাইলিংক। মাঝে তাকে সঙ্গ দিতে এসে অধিনায়ক এরাসমাস করেন ১৩ রান।
নামিবিয়া ছিল সহজ জয়ের খুব কাছেই। শেষ ৬ বলে তাদের দরকার কেবল ৫ রান, ক্রিজে ৪৫ রানে থাকা ফ্রাইলিঙ্ক। তবে মেহরান খানের করা ওভারের প্রথম বলেই স্টাম্প হারান ফ্রাইলিঙ্ক। নতুন ব্যাটার জ্যান গ্রিন এক বল ডট খেলে পরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে। বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও। তিন বলে তখন দরকার ৫, ক্রুগার দৌড়ে এক নিয়ে ভিসাকে স্ট্রাইক দেন। পঞ্চম বলে ২ রান নিলে শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। মেহরান খানের বল হিট করতে পারেননি ভিসা, দৌড়ে এক রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে ম্যাচ হয় টাই।