ডেভিড মিলারের ব্যাটে নেদারল্যান্ডস ভয় কাটাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ডেভিড মিলারের ব্যাটে নেদারল্যান্ডস ভয় কাটাল দক্ষিণ আফ্রিকা
ডেভিড মিলারের ব্যাটে নেদারল্যান্ডস ভয় কাটাল দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আত'ঙ্কের নাম নেদারল্যান্ডস। সামর্থ্য ও যোগ্যতার বিচারে দুই দলের পার্থক্য যোজন যোজন হলেও ডাচদের জুজু যেনো পেয়ে বসেছে প্রোটিয়ারদের। অ্যাডিলেড কিংবা ধরমশালার ক্ষতের দাগ মুছে যাবার আগেই নিউইয়র্কে আবারো প্রোটিয়াদের ঘাম ঝরিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
বিগত কয়েকবছর ধরে ক্রিকেট মাঠে জমে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসের লড়াই। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধরমশালায় ৩৮ রানে হারিয়েছিলো ডাচরা। তার আগে ২০২২ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফিকার বিদায় হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরেই। ডাচদের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
শনিবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবারো ডাচদের বিপক্ষে হারের শঙ্কা জাগিয়েছিলো প্রোটিয়ারা। যদিও ডেভিড মিলারের অনবদ্য ইনিংসে জয় নিতে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচের শুরুতে দারুণ বোলিং করে নেদারল্যান্ডসকে অল্প রানে আটকে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ৩ উইকেটে ২০ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে ডাচরা। স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান জমা করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট ও লোগান ফন বিকের ৫৪ রানের জুটির উপর ভর করে ১০৩ রান সংগ্রহ করে নেদারল্যান্ডস। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন বার্টম্যান। নরকিয়া ও ইয়ানসেন নেন ২ টি করে উইকেট।
১০৪ রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। এরপর ডেভিড মিলার ও ট্রিস্টান স্টাবস ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন। ৩৩ রান করে স্টাবস ফিরলেও ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান, তবে ৫ বলেই ম্যাচের ইতি টেনে দেন মিলার। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ৪ উইকেটের। ম্যাচ সেরা হন ডেভিড মিলার।
এই জয়ে ডি গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেদারল্যান্ডস।