শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
দারুণ শুরু করেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। লেগ-স্পিনার রিশাদের ঘূর্ণি আর তাসকিন-ফিজদের গতির ঝড়ে বেসামাল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। এরপর অবশ্য বাংলাদেশও দেখে ওপেনারদের বিপর্যয়। আজও রানে ফিরতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। তবে স্বস্তি এনে দিলেন লিটন দাস, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন জয়ের পথে। মাঝে তাওহীদ হৃদয় ২০০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪০ রান। শেষে কঠিন হয়ে যাওয়া ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। সাকিবের বিদায় পর দ্রুতই বিদায় নেন রিশাদ, তাসকিন। রীতিমতো কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে, যা একা হাতে সামলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ রিয়াদ। ৬ বল হাতে রেখে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারাল ২ উইকেটে।
১২০ বলে দরকার ১২৫, লঙ্কানদের হারাতে বাংলাদেশের সহজ টার্গেট। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে শূন্য হাতে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ডাক যে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সৌম্যর। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও সৌম্য বিদায় নিয়েছিলেন সিলভার ডাকের স্বাদ নিয়ে। পরের ওভারে অ্যাকশনে আসা নুয়ান থুসারা স্টাম্প ভাঙেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমের। সৌম্য ০ হাতে ফিরলেও ৬ বল খেলা তামিম পেয়েছেন ৩ রান।
স্কোরবোর্ডে ৬ রান ওঠতেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে দুই ওপেনারকে। চরম বিপর্যয়ের শঙ্কা জাগে। এরপর ধীরগতির ব্যাটিংয়ে দ্রুত ওপেনারদের হারানোর চাপ সামলে দেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে গিয়ে বাংলাদেশ পায় প্রথম বাউন্ডারির দেখা। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফের বল হাতে নুয়ান থুসারার আগমন। এবার উইকেট দিয়েছেন শান্ত।
বাংলাদেশ অধিনায়কের খেলা ১৩ বলের ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি। ৫৩.৮৪ স্ট্রাইক রেটে নামের পাশে ৭ রান নিয়ে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে। তবে শান্ত যে বলে আউট হয়েছেন, গ্যাপ খোঁজে পেলে নিশ্চিত পেয়ে যেতেন বাউন্ডারি। কিন্তু হয়েছে উল্টো, শর্ট এক্সট্রা এরিয়াতে ফিল্ডিং করা চারিথ আসালাঙ্কা অসাধারণভাবে লুফে নেন এই ক্যাচ। দলীয় ২৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষ করেছে ৩৪ রানে।
এরপর অবশ্য লিটন দাস সঙ্গী হিসাবে পান তাওহীদ হৃদয়কে। পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান এই দুই ডান হাতি ব্যাটার। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহে জমা হয় ৬৪ রান। লঙ্কানদের হারাতে শেষ ১০ ওভারে দরকার ৬১। ইনিংসের ১২ তম ওভারে হাসারাঙ্গাকে একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে তাওহীদ হৃদয় ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে দেন লঙ্কানদের।
টানা ৩ ছয় হাঁকিয়ে তাওহীদ হৃদয় পরের বলে লেগ বিফোরে হারান উইকেট। ফেরার আগে ২০ বলে খেলা তার ৪০ রানের ক্যামিওতে ৪ ছক্কার সাথে ১ চার। হৃদয়ের বিদায়ের ফলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি, যা আসে কেবল ৩৮ বলে। লিটন দাস ব্যক্তিগত ৩৬ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি, দলীয় ৯৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
লিটন যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান জয় থেকে বাংলাদেশ তখন কেবল ২৬ রানের দূরত্বে। ক্রিজে তখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার, সাকিব ও রিয়াদ। সাকিব আল হাসান থিতু হয়েও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলেন না। মাথিসা পাথিরানার বল বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় ডিপ থার্ড অঞ্চলে থিকাশানার হাতে হন ক্যাচ। ১৪ বলে ৮ রান করে সাকিব ফিরে যান সাজঘরে।