ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে লিডের খুব কাছে বাংলাদেশ
- 1
অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশি বোলারদের শিকার ৫ উইকেট
- 2
ঢাকা লিগে ৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নি'ষিদ্ধ করল বিসিবি
- 3
টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করে তিলক বার্মার বিশ্বরেকর্ড
- 4
জমকালো আয়োজনে উন্মোচিত হল এনসিএল টি-টোয়েন্টির লোগো, দেখা যাবে সরাসরি
- 5
শুরুর ১৫ মিনিটেই হাসান মাহমুদের দুই উইকেট, এরপর বিবর্ণ বাংলাদেশ
ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে লিডের খুব কাছে বাংলাদেশ
ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে লিডের খুব কাছে বাংলাদেশ
মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ দলের স্কোর ৬৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২০১ রান, যার ৪টিই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। সকালে দ্রুত আরও ৩ উইকেট হারানোর পর নেমে ৭১ বলে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন জাকের আলি অনিক। ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে বিপর্যয় থেকে তুললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংস হারের শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে কেবল ১ রানে। মিরাজ-জাকের জুটিতে এখন পর্যন্ত রান এসেছে ৮৭।
৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তখন পিছিয়ে ছিল আরও ১০১ রানে। প্রোটিয়াদের উইকেট শিকারের উৎসব শুরু হয় জয়কে দিয়ে। নতুন দিনের সকালে বেশিসময় উইকেটে থাকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ব্যক্তিগত ৪০ রানে ওপেনার জয় রাবাদার অফ স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ হন স্লিপে। আর তাতেই ভাঙে মুশফিকের সাথে গড়া ৪৬ রানের জুটি।
কেবল জয়কে বিদায় করেই ক্ষান্ত হননি কাগিসো রাবাদা। এক ডেলিভারি পরই তুলে নেন আরেক সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের উইকেটও। রাবাদার স্টাম্পে আসা বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে স্টাম্প উপড়ে যায় ৩৩ রানে থাকা মুশফিকের। ঢাকা টেস্টের টানা দুই ইনিংসে রাবাদা বোল্ড করলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশিফককে।
পরপর দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে এই বিপদ আরও বাড়িয়ে যান লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে কেবল ১ রানে আউট হওয়া লিটন এই ইনিংসেও দলকে দিতে পারেননি স্বস্তি। ১৫ বলের ইনিংসে ৭ রান করে কেশব মহারাজের বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে। দলীয় ১১২ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশ বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ায় মেহেদী হাসান মিরাজ ও অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের ব্যাটে। বেশ দেখে-শুনে এই দুই ব্যাটার দলের সংগ্রহ টানতে থাকেন। একসময় যেখানে ইনিংস হারের শঙ্কা জাগে, সেখান থাকে তারা এনে দেন লিড। এর আগে মিরাজ পূর্ণ করেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি। এই রান করতে মিরাজের খেলতে হয় ৯৪ বল।
৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশের রান ২০১। এখন তারা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে কেবল ১ রানে।