চার দিনেই ম্যাচ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
চার দিনেই ম্যাচ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
চার দিনেই ম্যাচ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
লাঞ্চ বিরতি থেকে চা বিরতি পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের খুব কাছে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে এখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩২ রান। সাকিব আল হাসান ১৪, লিটন দাস শূন্য রানে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে নিয়ে গেলেন দলকে। জিততে হলে করতে হবে আরও ৩৭৯ রান, হাতে বাকি কেবল ৬ উইকেট।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারের একজনও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ব্যক্তিগত ২৪ রানে প্রবাথ জয়াসুরিয়া স্টাম্প ভাঙেন মাহমুদুল হাসান জয়ের, ভাঙে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার জাকির হাসান আরেক ইনিংসে ফিফটি হাঁকালেও আজ ফিরেছেন কেবল ১৯ রানে। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত থিতু হয়েও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প উপড়ে যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের।
দলীয় ৯৪ রানে তিন উইকেট খুইয়ে ফেলা বাংলাদেশ শিবির এরপর অবশ্য মুমিনুল-সাকিবের ব্যাটে কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়। ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলেই পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন মুমিনুল। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮ তম অর্ধশতক। তবে ফিফটি উদযাপনের পরের বলেই মুমিনুল হারান উইকেট। দ্বিতীয় সেশনের একদম শেষ ওভারে মুমিনুলের বিদায় হলে সাকিবকে সঙ্গ দিতে নামেন লিটন দাস।
সাগরিকায় রানের পাহাড়ে ডুবছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। আর তাতেই আগের ইনিংসের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে ৫১১ রানের টার্গেট। ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড। ড্র করতে হলে খেলতে হবে প্রায় দুইদিন। এমন সমীকরণের ম্যাচে ৩৪ ওভার খেলতেই টাইগাররা হারিয়ে বসে চার ব্যাটারকে।
সেশনের একদম শেষ ওভারে মুমিনুল হক আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান। এর আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮ তম অর্ধশতকের দেখা পান এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
সিলেট টেস্টেও সমান ৫১১ রানের টার্গেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যার ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হার দেখে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে।