বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন তামিম, সরে দাঁড়ালেন আকরাম খান
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 15 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে- 1
এশিয়ার সর্বকালের সেরা একাদশে সাকিব আল হাসান
- 2
আইপিএলের রঙ্গমঞ্চে গেইলের শেষ অঙ্কটা বিষাদের
- 3
আইজ্যাকের শতকে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের সমতা
- 4
বিসিবি নির্বাচন, ফিক্সিং ইঙ্গিত ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ‘সীমিত হস্তক্ষেপ’: আড়ালের গল্প কী?
- 5
এশিয়া কাপে দুই বাংলাদেশি আম্পায়ার, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দায়িত্বেও তারা

বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন তামিম, সরে দাঁড়ালেন আকরাম খান
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন তামিম, সরে দাঁড়ালেন আকরাম খান
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে একই পরিবারের দুজন প্রার্থী থাকাটা শোভন নয় মনে করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও আরেক সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত আকরাম খান। প্রধান নির্বাচক, পরিচালক, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে বেশ কয়েকটি পদে দায়িত্বে থাকলেও চলতি পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট সংগঠক।
নির্বাচন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে আকরাম বলেন, "আপনারা জানেন পরিবারের আরেকজন সদস্য অংশগ্রহণ করছে। আমার মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডে এক পরিবার থেকে দুইজন লোক থাকা—এটা আমার কাছে পছন্দ না। ও (তামিম ইকবাল) তো আমার ছোট, আমার ছেলের মতো। ওকে আমি কোলে নিয়েছি। এজন্য আমি সরে আসছি। দুজন থাকা—এটা আসলে ভালো দেখায় না। বয়সেরও তো একটা ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন করব না।"
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনামও। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে দুজন প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকলেও সেখানে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন আকরাম, যাতে ভাতিজা তামিমকে এগিয়ে নেওয়া যায়।
তামিম যদি ভোটে জিতে পরিচালক হন, তবে বিসিবি সভাপতি পদেও লড়তে পারেন তিনি। একই পদে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান সভাপতি বুলবুল। ফলে নির্বাচনী লড়াই জমতে পারে এই দুই সাবেক ক্রিকেটারকে ঘিরে।
তবে বিতর্কে না গিয়ে আকরাম চান সবার আগে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি। তিনি বলেন,
"বার্তা মানে তামিম বলেন বা বুলবুল বলেন যেই আসুক—একজন আমার আত্মীয়, একজন কলিগ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন ভালো হয় সেই জিনিসটা চাই। এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা হয়েছে আপনার সম্মান। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে স্বার্থের জন্য অন্যকে অনেক অসম্মানিত করা হচ্ছে। এই জিনিসটা আসলে সহ্য করার মতো না। কারণ আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে ক্রিকেট। ক্রিকেট ছাড়া আমি ব্যবসায়ী দিক, কোনো রাজনীতিবিদ, রাজনীতির হিসেবেও কিন্তু আমি আসিনি। সুতরাং ক্রিকেট নিয়ে যদি কোনো ধরনের অসম্মান হয় সেটা সহ্য করার মতো না।"