সিলেটে নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগেআপডেট: 6 মিনিট আগে- 1
চলে যাচ্ছেন উড, ব্যাটিং দেখভালের দায়িত্বে সালাউদ্দিন
- 2
সাইফ হাসান: টেস্ট ওপেনার থেকে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার, ফিরে আসার গল্পে আছেন এক কোচ
- 3
নাসুম স্কোয়াডে থেকেও একাদশে না থাকাটা পরিকল্পনারই অংশ: সালাউদ্দিন
- 4
জয়ের বাইরেও প্রস্তুতির বার্তা: এশিয়া কাপের আগে কতটা তৈরি বাংলাদেশ?
- 5
ডিউ ফ্যাক্টরের বিরুদ্ধে তাসকিনের শ্রেষ্ঠত্ব: সিলেটে বাংলাদেশের জয়

সিলেটে নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
সিলেটে নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত নাসুমের, তাসকিন-মুস্তাফিজদের আগুনে বোলিংয়ে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেল নেদারল্যান্ডস। সেই রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন মিলে যোগ করেন ৪০ রান এবং বাংলাদেশ পায় ৯ উইকেটের বড় জয়।
সিলেটে ভাদ্র মাসের তপ্ত গরম শেষে সন্ধ্যায় ছিল শীতল আবহাওয়া। সেই শীতলতায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় ব্যাটে-বলে উত্তাপ ছড়ান তাসকিন, নাসুম, তানজিদ তামিম ও লিটন দাসরা। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত ফিফটিতে মাত্র ১৩.১ ওভারে জয় তুলে নেয় মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। ফলে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই জয় সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
রান তাড়ায় ডাচ বোলারদের কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়ে পাওয়ার প্লেতে তামিম-ইমন গড়েন ৪০ রানের জুটি। আগ্রাসী ব্যাটিং নৈপুন্যে ইমন তিন বাউন্ডারি এবং এক ছক্কায় ২৩ রানে ফিরলেও তামিম উইকেটে ছিলেন অবিচল। বাংলাদেশের এই ওপেনার ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ফিফটিতে বাংলাদেশের ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেই মাঠে ছাড়েন। তামিমের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কার মার।
দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সাথে অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটিতে তামিম ছিলেন মূল নায়কের ভূমিকায়। সেখানে উইকেটে তার ছায়া হয়ে থাকা লিটন করেন অপরাজিত ১৮ রান। বাংলাদেশের এই অধিনায়ক গেল ম্যাচে ছিলেন ৫৪ রানে অপরাজিত। আজ তানজিদ তামিমও ছিলেন তাই, আর জয়সূচক বাউন্ডারিটাও এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে।
এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নেমেছিল পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগাররা। আগের ম্যাচে একাদশে থাকা রিশাদ হোসেন ও শরীফুল ইসলামের জায়গায় ফেরেন যথাক্রমে নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
মাত্র এক ম্যাচ পর দলে ফিরে নিজ শহরে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেন সিলেটের সন্তান নাসুম আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন ডাচ শিবিরে। ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড (৮) নাসুমের বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড-অনে। এরপর তিন নম্বরে নামা তেজা নিডামানুরু রানের খাতা না খুলেই স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে।
পরপর দুটি উইকেট হারালেও একপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন ওপেনার বিক্রমজিত সিং। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও তাকে বেশি দূর যেতে দেননি বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে খেলার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন বিক্রমজিত। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচটি তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে ২৪ রানের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি মারেন এই ডাচ ব্যাটার।
এরপর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। মুস্তাফিজুর রহমান এবং সাকিব আল হাসান মিলে তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। মুস্তাফিজের শিকার হন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস (৯) ও সিকান্দার জুলফিকার (২)। সাকিব ফেরান শারিজ আহমেদকে (১২)। এছাড়া সাইফ হাসানের নিখুঁত থ্রোতে রান আউট হয়ে যান নোয়াহ ক্রোজ (২)।
শেষদিকে আরিয়ান দত্তর ২৪ বলে ৩০ রানের একটি কার্যকর ইনিংসে শতরান পার করে নেদারল্যান্ডস। শেষ ব্যাটার হিসেবে তাকে শেখমাহেদী হাসান ফেরালে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস থামে ১৭.৩ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে।
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে কোনো সময়ই ম্যাচে ফিরতে পারেনি সফরকারী দলটি। একাদশে ফিরে আসা নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় নেন মূল্যবান ৩ উইকেট। তাসকিন ৪ ওভারে ২২ রানে শিকার করেন ২ উইকেট, মুস্তাফিজ ৩.৩ ওভারে ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া মাহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট দখল করেন।