ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের
বোলাররা কাজটা করেছেন ঠিকঠাক, তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা মেলেনি। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে অলিখিত সেমিফাইনালে পরিণত হওয়া ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি যেতে পারেনি টাইগাররা।
রান তাড়ার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম ওভারেই ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন—রানের খাতা খোলার আগেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নাওয়াজকে। এরপর সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কিছুটা আশার আলো জাগলেও বড় হতে পারেনি জুটি। শাহিনের শর্ট বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন হৃদয়।
১৫ বলে ১৮ রান করা ইনফর্ম সাইফকেও ফেরান হারিস রউফ। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান (২১ বলে ১৬) ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী (২৫ বলে ৩০)। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুজনকেই হারায় দল। আফ্রিদি তুলে নেন শামীমের উইকেট, কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। নিচের সারির ব্যাটাররা শুধু ব্যবধান কমানোর কাজ করেছেন। রিশাদ হোসেন অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৬ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি ও হারিস রউফ তিনটি করে, সাইম আইয়ুব দুটি এবং নাওয়াজ নেন একটি উইকেট।
এর আগে বল হাতে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের গতির সামনে টিকতে পারেননি ইনফর্ম সাহিবজাদা ফারহান—৪ বলে ৪ রান করে রিশাদের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর শেখ মেহেদি বিদায় করেন সাইম আইয়ুবকে (০)।
শুরুর ধাক্কায় পাওয়ার প্লেতেই ২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে রিশাদ ফিরিয়ে দেন ফখর জামান (২১ বলে ১৩) ও হোসেইন তালাতকে (৭ বলে ৩)। এক প্রান্তে লড়াই করছিলেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা (১৯)। তবে তাকেও ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান শাহিন আফ্রিদি (১৩ বলে ১৯) ও মোহাম্মদ নাওয়াজ (১৫ বলে ২৫)। তাদের ছোট ইনিংসেই ভর করে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় দলটি।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন নেন ৩ উইকেট, মেহেদি ও রিশাদ পান দুটি করে উইকেট। একটি নেন মুস্তাফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (মোহাম্মদ হারিস ৩১, নাওয়াজ ২৫, আফ্রিদি ১৯; তাসকিন ৩/২৮, রিশাদ ২/১৮, মেহেদি ২/২৮)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (শামীম ৩০, সাইফ ১৮, রিশাদ ১৬*; আফ্রিদি ৩/১৭, হারিস ৩/৩৩, সাইম ২/১৬)
ফলাফল: পাকিস্তান জয়ী ১১ রানে।