Image

ফেসবুকে ক্রিকেটারদের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ আসিফ মাহমুদের

৯৭ প্রতিবেদক: তাকি বিন মহসিন

প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
ফেসবুকে ক্রিকেটারদের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ আসিফ মাহমুদের

ফেসবুকে ক্রিকেটারদের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ আসিফ মাহমুদের

ফেসবুকে ক্রিকেটারদের মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ আসিফ মাহমুদের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল আলোচিত আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এবার মুখ খুললেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তিনি বর্তমান ক্রিকেটারদের ফেসবুকে প্রকাশ্য মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, সক্রিয় ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ড নির্বাচন নিয়ে সরব হওয়া একেবারেই অনুচিত এবং এটা সরাসরি চুক্তিভঙ্গের শামিল বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

শুক্রবার গণমাধ্যমের সাথে বিসিবি নির্বাচন প্রসঙ্গে আলাপকালে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “পৃথিবীর কোথাও সক্রিয় ক্রিকেটাররা বোর্ড নির্বাচন নিয়ে কথা বলে না। আমাদের ক্রিকেটাররা চুক্তিবদ্ধ পেশাদার। তারা মাঠে খেলবে, নির্বাচনের রাজনীতিতে জড়ানো তাদের দায়িত্ব নয়। এই ধরনের বক্তব্য কন্ট্রাক্ট ভায়োলেশন।”

তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বারবার ক্রিকেটারদের নির্বাচন ও রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে, যা খেলাধুলার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তার ভাষায়, “ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো কোনো নতুন বিষয় নয়। আগে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এগুলো যারা করাচ্ছেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। ক্রিকেটকে রাজনৈতিক বিভাজনের হাতিয়ার বানানো যাবে না।”

সম্প্রতি ঢাকার ১৫ ক্লাবকে বাদ দিয়ে বিসিবির প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একযোগে প্রতিক্রিয়া দেন কয়েকজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার। সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, ইরফান শুক্কুর ও মোহাম্মদ মিঠুন নিজেদের ফেসবুক পেজে একই বার্তা দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তাদের বক্তব্য ছিল, এমন সিদ্ধান্ত দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি তোলেন।

সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কোয়াব সভাপতি মিঠুন আলম তার বক্তব্যে লেখেন, “বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ঘটছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। আমরা চাই, নির্বাচন যেন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। ক্রিকেটের ভবিষ্যৎই এখানে মূল বিষয়।”

অন্যদিকে সাবেক জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন টসের মতোই স্বাভাবিক। তবে নির্বাচনটি হোক সুন্দর পরিবেশে, যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।”

বিসিবির প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত তালিকা, যেখানে ফের যুক্ত করা হয় বাদ পড়া ঢাকার ১৫ ক্লাবকে। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুসারে, তিনটি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হবেন মোট ২৩ জন পরিচালক। তাদের সঙ্গে যোগ হবেন আরও দুই মনোনীত পরিচালক। এই ২৫ পরিচালকের ভোটেই নির্বাচন হবে নতুন বোর্ড সভাপতির।

আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বিসিবি নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে নাটকীয়তা, প্রতিক্রিয়া আর বিতর্কে দেশের ক্রিকেট অঙ্গন এখন এক উত্তপ্ত সময় পার করছে।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three