Image

ম্যাচ রেফারি জানালেন কিভাবে তামিমের চিকিৎসা হল

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 1 দিন আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
ম্যাচ রেফারি জানালেন কিভাবে তামিমের চিকিৎসা হল

ম্যাচ রেফারি জানালেন কিভাবে তামিমের চিকিৎসা হল

ম্যাচ রেফারি জানালেন কিভাবে তামিমের চিকিৎসা হল

ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান তামিম ইকবাল। সকালে মোহামেডান অধিনায়ক হিসেবে টসও করেন। পরে বুকে ব্যথা  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। জানা যায় দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়ার পর বর্তমানে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন এই ক্রিকেটার। 

আসলে তখন কি ঘটেছিলো আজকের বিকেএসপির ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল জানিয়েছেন বিস্তারিত ভাবে। তিনি বলেন, "আমরা সকালে টস করেছি একসঙ্গে। দুই অধিনায়কের সঙ্গে। টসের পরও তিন চার মিনিট কথা হয়েছে তামিমের সঙ্গে। কথা হওয়ার পর সে ড্রেসিংরুমে চলে যায়, আমি আমার রুমে চলে যাই। হঠাৎ করে মোহামেডানের ফিজিও এনাম ফোন করে জানায়, তামিম ব্যথা অনুভব করছে। আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। মাঠেই অ্যাম্বুলেন্স ছিল, তামিমের গাড়িও ছিল। ওরা সঙ্গে সঙ্গে আসে। তখন আমি আমার রুমে ছিলাম।"

তিনি আরো বলেন, "রুম থেকে তামিমের ডাক্তারে সঙ্গে কথা বলে খবর নিচ্ছিলাম।  বিকেএসপির ডাক্তার ছিল, মোহামেডানের ট্রেনার ডালিম ছিল। ওরা এত আউটস্ট্যান্ডিং দায়িত্ব পালন করেছে,আসলে এটা না দেখলে বুঝার মতো না। তখন তো অভিভাবকরা ছিল না। ওরা এখানে নিয়ে আসেন তামিম ইকবালকে। তখন আমি মাঠে। ইসিজি করিয়েছেন, আরেকটা রিপোর্টে একটু সমস্যা ছিল।  এটা সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না ডাক্তার বললো। তামিম বললো আমি এখন ভালো অনুভব করছি। ও ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে হেলিকাপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যেন হেলিকাপ্টার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।"

তামিমের পালস পাওয়া যাচ্ছিলোনা জানিয়ে ম্যাচ রেফারি বলেন, "আমিও তামিমের কাছে গেলাম। গিয়ে যখন তামিমকে নামাবে। তখন তামিম পুরোপুরি অচেতন। মুখ দিয়ে ফেনা পড়ছে। ডাক্তার বলছে পালস পাওয়া যাচ্ছে না, খুবই খারাপ অবস্থা। এর মধ্যে ডালিম পাঞ্চ করতেছে। এতই বাজে অবস্থা আমি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কী তাঁকে ঢাকা নেবো নাকি আবার হাসপাতালে। ডাক্তার বলতেছে অবস্থা কিন্তু ভালো নয়।"

তিনি আরো বলেন, "পালস পাচ্ছি না। আমি তো তামিমের পায়ের দিকে। আমি ডাকতেছি, কোনো প্রকার সাড়া নেই। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার যখন বললো নেওয়া ঠিক হবে না। তখন ডাক্তার বললো নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা মুভ করো হাসপাতালে। গাড়ি নিয়ে যখন হাসপাতালে মুভ করি। চার পাঁচ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছে যাই। এর মধ্যে রেসপন্স আসে।"

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three