উইমেন্স আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

উইমেন্স আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
উইমেন্স আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
মেয়েদের আইপিএলের ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে আবারও শিরোপা জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ফের স্বপ্নভঙ্গ দিল্লির, হারমানপ্রীত কৌরের দল রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল জিতল ৮ রানে। দুই বার ফাইনালে উঠে, দু'বারই দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।
দ্বিতীয়বারের মতো উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ৮ রানে হারাল দিল্লিকে। মুম্বাইয়ের ১৪৯/৭ তাড়া করতে নেমে দিল্লি আটকে গেল ১৪১/৯ স্কোরে। ২০২৩ সালের ফাইনালের বদলা নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস।
মুম্বাইয়ের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং। মারিজান ক্যাপের সৌজন্যে এই সিদ্ধান্ত সঠিক হয়ে দাঁড়ায়। ইয়াস্তিকা ভাটিয়ার পাশাপাশি বিধ্বংসী ফর্মে থাকা মুম্বাই ওপেনার হেইলি ম্যাথিউজকে ফেরান। মাত্র ১৪ রানেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু করেছিল দিল্লি। এরপরই ক্যাপ্টেন্স নক হারমানপ্রীত কৌরের।
হারমানপ্রীত কৌর দেখালেন কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ৪৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত দেন। ৯ চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে সাজানো এই ইনিংসই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পার্থক্য গড়ে দেয়। তাঁর ব্যাটে ভর করেই মুম্বাই ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়ে। স্লগ ওভারে আবারও বোলাররা ম্যাচে ফেরায় দিল্লিকে।
১৫০ রানের টার্গেট সেট করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। টার্গেট টপকাতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের দুই ভরসা মেগ ল্যানিং এবং শেফালি ভার্মা দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় দল। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিংয়েও ভরসা দেন মারিজান ক্যাপ। ২৬ বলে ৪০ রান করেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় শেষ রক্ষা হয়নি দিল্লির। মুম্বই বোলারদের মধ্যে ন্যাট সাইবার ব্রান্ট ৩ উইকেট নেন। অ্যামেলিয়া কের নেন দুটি উইকেট।