আইনি নোটিশ পেয়ে বাংলাদেশেই আর থাকেননি ইয়াসা সাগর
আইনি নোটিশ পেয়ে বাংলাদেশেই আর থাকেননি ইয়াসা সাগর
আইনি নোটিশ পেয়ে বাংলাদেশেই আর থাকেননি ইয়াসা সাগর
কানাডিয়ান মডেল এবং ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াসা সাগর যে উন্মাদনা নিয়ে বিপিএল শুরু করেছিলেন, তার শেষটা হয়েছে চরম হতাশায়। চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নানা দ্বন্দ্বে বিপিএলের মাঝপথেই ছাড়লেন বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন না করায় ইয়াসার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন মালিক সামির কাদের চৌধুরী।
চিটাগং কিংস প্লে-অফ পেরিয়ে বিপিএল ফাইনালে। আগামীকাল তারা ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে নামবে শিরোপার লড়াইয়ে। লিগ পর্বের পর থেকেই দলের সাথে নেই হোস্ট ইয়াসা সাগর। এরমাঝে সামনে আসতে থাকে ইয়াসা ও কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির নানা ইস্যু। চুক্তির কাজ কিংবা পেমেন্ট; কোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি ইয়াসা। উল্টো পেয়ে যান মালিক পক্ষের থেকে আইনি নোটিশ। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বিপিএলের মাঝপথে।
চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করায় টিম হোস্ট ইয়াসা সাগরকে উকিল নোটিশ দিয়েছিল চিটাগং কিংস। গত ২ ফেব্রুয়ারি নোটিশ পেয়ে দলের সাথে আর কোনো কাজই করেননি ইয়াসা, এর মাঝে বাংলাদেশও ছেড়েছেন তিনি। চিটাগং কিংসের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আছে ইয়াসার। চুক্তির বাইরে তাকে দিয়ে বিজ্ঞাপনে মডেলিং করানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি বলছে, চুক্তিতে থাকা কাজই সম্পন্ন করেনি ইয়াসা। বরং তার অবহেলার কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজির আর্থিত ক্ষতি হয়েছে।
গত দুই ফেব্রুয়ারি চিটাগং কিংস মালিক সামির কাদের চৌধুরীর পক্ষে ইয়াসা সাগরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাকাওয়াত হোসেন। সেখানে বলা হয়, 'চুক্তির ৯ নং ধারা অনুযায়ী আপনি (ইয়াসা) আপনার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও আপনি স্পন্সর ডিনারে যোগ দেননি। আপনি প্রয়োজনীয় স্পন্সর শুটিং এবং প্রচারমূলক কাজ সম্পূর্ণ করতে অবহেলা করেছেন। আপনার এমন অ-সম্মতি ফ্র্যাঞ্চাইজির (চিটাগং কিংস) সুনাম এবং আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।'
'নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ২ (দুই) দিনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য জানানো হচ্ছে। আপনার চুক্তিতে থাকা দায়িত্ব সমাধানে ব্যর্থ হলে, আমার ক্লায়েন্ট আইন অনুযায়ী আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।'