মুস্তাফিজকে দেখেশুনে খেলে রিশাদের ওভারেই বেশি রান তুলে চেয়েছে পাকিস্তান
- 1
ঢাকায় এসিসির সভা, ভারতের সাথে বৈঠক বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাও
- 2
শেষ ওভারে গিয়ে ৮ রানে জিতল বাংলাদেশ, আর তাতেই সিরিজ জয়
- 3
মাইলস্টোন স্কুল ছাত্রদের জন্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ উৎসর্গ করল বিসিবি
- 4
এক ম্যাচ জিতে আবার টস হারলেন লিটন, একাদশে দুই পরিবর্তন
- 5
উত্তরায় স্কুলে বিমান–দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য লিটনদের জয় উৎসর্গ

মুস্তাফিজকে দেখেশুনে খেলে রিশাদের ওভারেই বেশি রান তুলে চেয়েছে পাকিস্তান
মুস্তাফিজকে দেখেশুনে খেলে রিশাদের ওভারেই বেশি রান তুলে চেয়েছে পাকিস্তান
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হেরে গেছে পাকিস্তান। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ নিজেদের ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। লো স্কোরিং এই ম্যাচে পাকিস্তানের পক্ষে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দৃঢ়তা দেখান ফাহিম আশরাফ। ৩২ বলে ৫১ রানের এক কার্যকর ইনিংসে দলকে আশা দেখিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম বললেন, পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দল, তবে জুটি গড়তে না পারাই হারের মূল কারণ, "আমরা শুরু থেকেই জানতাম আজকের উইকেট চ্যালেঞ্জিং হবে। আগের ম্যাচে উইকেট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছিলাম। আজকে চেয়েছিলাম ব্যাট হাতে পার্থক্য গড়তে। পরিকল্পনা ছিল জুটি গড়ার, কারণ জুটি গড়তে পারলেই ম্যাচ বের করে আনা যেত।"
বাংলাদেশের ইনিংসে জাকের আলীর ৫৫ রানের কার্যকর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন ফাহিম। একই সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে জানালেন, বিপিএলের সময়ের উইকেট আর এই সিরিজের উইকেট একেবারেই ভিন্ন,
"বিপিএলে যখন খেলেছি তখন শীতকাল ছিল। তখন উইকেটে ঘাস থাকে, ব্যাটিংও সহজ হয়। কিন্তু এখন গরম বেশি, উইকেটও অনেক নরম। স্পিন বেশি ধরছে। এই পিচে ব্যাট করা সহজ নয়।"
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে কিছুটা হতাশাও ঝরেছে তার কণ্ঠে, "ফখর লেগ সাইডের বলে আউট হয়েছে, কেউ রানআউট হয়েছে—এগুলো খেলার অংশ। ওরা আগেও ভালো খেলেছে। আজ হয়তো হয়নি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল যতদূর সম্ভব ম্যাচে লড়াই চালিয়ে যাওয়া।"
নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়েও বললেন তিনি। বিশেষ করে মুস্তাফিজ ও রিশাদের ওভারকে আলাদা করে নজরে রেখেছিলেন, "প্রত্যেক বোলারের বিপক্ষে আলাদা পরিকল্পনা ছিল। মুস্তাফিজ বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন, তাই ওর বিপক্ষে যতটা পারি বুঝেশুনে খেলেছি। চেষ্টা করেছি রিশাদের ওভারেই বেশি রান তুলে ফেলার, যাতে শেষ ওভারে চাপ না থাকে।"
শেষ দিকে আহমেদ দানিয়েলের সাহসী ব্যাটিংও নজর কেড়েছে। তাঁর প্রশংসা করে ফাহিম বলেন, "ও ভালো অলরাউন্ডার। পাকিস্তানে সবাই জানে ওর ব্যাটিং সামর্থ্য আছে। আজও সেটা দেখিয়েছে। ইনশাল্লাহ সামনেও ও ভালো খেলবে।"
শেষ ওভারে জয়ের বিশ্বাসটা ছিল কি না এমন প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসের সুর ফাহিমের কণ্ঠে, "২০ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও বিশ্বাস ছিল। দানিয়েলের ছক্কা, আমার সঙ্গে জুটি—সব কিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছিল আমরা পারব। শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও আমাদের মনোবল হারাইনি।"