লিটনের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্বস্তি
লিটনের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্বস্তি
লিটনের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্বস্তি
মিরাজের পর তাসকিনকে হারিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ৮২ রানে তখন অপরাজিত লিটন কুমার দাস, ফিরে এসে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরিতে লিটন দলকে প্রায় অসম্ভব অবস্থানে পৌঁছে দেন। ৯ম উইকেট ৬৯ রানের জুটিতে তার সঙ্গী হন হাসান মাহমুদ। এর আগে মিরাজ-লিটন মিলে যোগ করেন ১৬৫। যেখানে ফলো অনেরও শঙ্কা ছিল প্রবলভাবে, ২৬ রানে ৬ উইকেট হারনো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ২৬২ রানে। ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে রাওয়ালপিন্ডিতে লিটন পেলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ২৬২। ১২ রানের লিড পেয়ে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামবে দ্বিতীয় ইনিংসে।
বাংলাদেশ ইনিংসের ৭৯তম ওভারে বল হাতে সালমান আলি আগা। বাউন্ডারির আশায় লফটেড খেলতে গেলেন লিটন দাস। কিন্তু লং অনে থাকা সাইম আইয়ুব ডানে দৌড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে পাকিস্তানকে বাঁচালেন। ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ২২৮ বলে ১৩৮ রান নিয়ে লিটনকে ফিরে যেতে হয় প্যাভিলিয়নে। ভাঙে হাসান মাহমুদকে নিয়ে গড় ৬৯ রানের নবম উইকেট জুটি।
প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ ৭৮.২ ওভারে পেয়েছে ২৬২ রান। ৫১ বলে ১৩ রান অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন হাসান মাহমুদ। খুব কাছে গিয়েও পাকিস্তানের ইনিংসের চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ ২৬ রান পর্যন্ত যেতে হারায় ৬ উইকেট। এরপর পাকিস্তান পেসারদের তোপের মুখে প্রতিরোধ গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। তবে ব্যক্তিগত ৭৮ রানে মিরাজ আউট হলে ভাঙে ১৬৫ রানের জুটি। এরপর তাসকিন আহমেদও বিদায় নেন দ্রুত।
তবে নতুন সঙ্গী হাসান মাহমুদকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন লিটন। দাপুটে ব্যাটিংয়ে পেয়ে যান কাঙ্খিত শতকের দেখা। এর আগেই হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই শ পার করালেন লিটন দাস।
লিটন দাস প্রথম ব্যাটার; টেস্টে দলের স্কোর যখন ৫০ এর কম, তখন ব্যাট ব্যাটিং অর্ডার পাঁচের পরে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন। চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ১১৪ রান আসে যখন বাংলাদেশের রান ৪৯/৪ ছিল। মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১৪১ রান আসে যখন তার দলের রান ছিল ২৪/৫। টেস্টে এটি লিটনের চতুর্থ সেঞ্চুরি।