আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু দেখছেন না জালাল ইউনুস
আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু দেখছেন না জালাল ইউনুস
আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু দেখছেন না জালাল ইউনুস
মুস্তাফিজুর রহমানকে আইপিএলে খেলতে দেখার আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে। তবে তা আগামী ১ মে পর্যন্ত শেষ হচ্ছে। এরপর আর মুস্তাফিজকে পাবে না চেন্নাই সুপার কিংস। তাকে ভারতের মাঠে দেখে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ পাবে না বাংলাদেশের সমর্থকেরা। এদিকে আজ (বুধবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস কথা বলেছেন মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যে শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের কথা চিন্তা করে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে আনছে, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। যা বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তা জালাল নিশ্চিত করলেন।
মুস্তাফিজকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে থাকার জন্য অনাপত্তিপত্র পত্র দেওয়া হয়েছিল। চেন্নাইয়ের অনুরোধক্রমে, পাশাপাশি মুস্তাফিজের চাওয়াতে তা ১ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এই সময়ে বাংলাদেশি পেসার আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
এরপর আর ভারতে থাকার সুযোগ নেই তার, ফিরতে হবে বাংলাদেশে। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বিসিবির পরিকল্পনার কথা জানান জালাল, “আমাদের চিন্তার বিষয় হলো মুস্তাফিজুরের ফিটনেস। তারা (ফ্র্যাঞ্চাইজি) চাইবে তার থেকে ১০০% নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, আমাদের আছে। আমরা মুস্তাফিজকে ফেরত আনার কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজকে খেলানো না, এখানে আনলে আমরা ওয়ার্কলোড দিয়েই ওকে প্ল্যান দিব। কিন্তু আইপিএলে থাকলে সেই প্ল্যান হবে না।”
আইপিএলে থাকাকালীন এক ম্যাচে শুধু ৪ ওভার বল করতে দেখা যায় যেকোনো বোলারকে। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও তাই। তবে শুধু এই চার ওভার খেলা নয়, বরং ক্লান্তিকর এক সময় যে সেখানে কাটাতে হয়– তাও পরিস্কার করেছেন এই বিসিবি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মনে হয়, আপনাদের কাছে ৪ ওভারের খেলা। কিন্তু এটা জানেন কত ধকল নিতে হয়? রাতের বেলাও তাদের ট্রাভেল করতে হয়। খেলা শেষে বিমানবন্দরে ঘুমিয়ে থেকেও ট্রাভেল করতে হয়।”
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই মুস্তাফিজের ফিটনেস নিয়ে অধিক সচেতন বিসিবি৷ জালাল ইউনুস উদাহরণ টানেন ২০২১ সালের বিশ্বকাপের। যেখানে আইপিএল খেলে বাংলাদেশের দুইজন খেলোয়াড় অংশ নেয় এবং তারা নিজেদের ক্লান্তির কথা জানায়। বড় টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে মুস্তাফিজকে সতেজ দেখতে চায় বোর্ড “একটা বড় ইভেন্টে যাচ্ছে, তার আগে যেন সে দলের সাথে থাকতে পারে। মে মাসেই আমাদের খেলা শুরু হয়ে যাবে ইউএসএ- এর সাথে, সেখানে তার মানিয়ে নিতে হবে।”
“যাওয়ার আগে তাকে ফিজিক্যালি ফিট হতে হবে। ক্লান্ত হয়ে গেলে সে ডেলিভার করবে না। তাহলে আমার কী দরকার? আমার তাকে প্রয়োজন। আমি সতেজ মুস্তাফিজকে চাই, ক্লান্ত মুস্তাফিজ চাই না।”
আইপিএলে একটা দীর্ঘ সময় ধরেই খেলছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। অভিজ্ঞতার ঝুলি নেহাৎ কম নয়। সেই অভিজ্ঞতা যে অন্যদের সাথে কাজে লাগানোর সক্ষমতা তার তৈরি হয়েছে, সে কথাই বোঝাতে চাইলেন জালাল। তিনি বলেন, “মুস্তাফিজকে আইপিএলে খেলে এখন শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজুরের লার্নিং প্রসেস এখন শেষ। বরং মুস্তাফিজ থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়রা। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না, মুস্তাফিজের কাছে থেকে অন্যদের লাভ হবে।”