Image

‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকতে পারতাম’

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 5 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকতে পারতাম’

‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকতে পারতাম’

‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকতে পারতাম’

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পরার পর অনেকেই ভেবেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার বোধহয় এখানেই শেষ। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে নিজেকে এমন ভাবে প্রস্তুত করেছেন রিয়াদ যাতে ২০২৪ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তো আছেন ই, বলতে গেলে মূল একাদশেও তার জায়গা চূড়ান্ত। কিন্তু তাই বলে কি ২০২২ বিশ্বকাপে বাদ পরা নিয়ে খারাপ লাগেনা রিয়াদের? জানা গেলো তার উত্তর।

২০০৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ৭টি আসরেই বাংলাদেশ দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ । কিন্তু দলে জায়গা পাননি ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বুধবার সকালে বিসিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে এই বিষয়ে কথা বলেছেন রিয়াদ,

‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম। কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ, যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।’

সাম্প্রতিক কয়েকবছরে ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন গিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বাদ পরেছেন কিছু সিরিজ থেকে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা নিয়েও ছিলো শঙ্কা। ক্যারিয়ারের এই উত্থান-পতন নিয়ে রিয়াদের ভাষ্য,

 ‘উত্থান-পতন তো আমার ক্যারিয়ারে কমবেশি ছিলই। আমি সব সময়ই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই সব সময় যা কিছু বলার আমি বলি। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, আল্লাহ হচ্ছেন সেরা পরিকল্পনাকারী। আমার ভালো সময়, খারাপ সময় সবকিছুরই একটি শিক্ষণীয় বিষয় থাকে—এটাই আমি বিশ্বাস করি।’

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, বয়স টা ৩৮। নিশ্চিত ভাবে বলাই যায় ২০২৪ সালের চলছি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টা হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। শেষটা নিশ্চয়ই রাঙিয়ে দিয়ে যেতে চাইবেন সেরা পারফরম্যান্স করে। তবে দ্যা গ্রীন রেড স্টোরিতে রিয়াদ বলেছেন ভিন্ন কথা। কোনো ব্যাক্তিগত লক্ষ্য নয়, বরং তার কাছে দল ই আগে। তিনি বলেন, 

‘আমি কখনো আমার নাম নিয়ে চিন্তা করিনি। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয়, ওটাতেই অনেক খুশি।’

জাতীয় দলে খেলা প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন,

‘জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা, সেটা সিরিজ হোক কিংবা কোনো মেগা ইভেন্ট হোক, সব সময়ই স্পেশাল। যখনই নতুন জার্সিটা পাই, সব সময়ই খুব ভালো লাগে।’

বাংলাদেশের সমর্থকদের নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের মানুষ অনেক আবেগপ্রবণ। অনেক অনুভূতি নিয়ে উনারা খেলা দেখেন। উনারা চায় আমরা ভালো করি। তো সবদিক থেকে বিবেচনা করে যে, এত দূর আল্লাহ আমাকে নিয়ে এসেছেন, এটাই অনেক, আলহামদুলিল্লাহ।’

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three