চা বিরতির আগে বাংলাদেশের ৫ উইকেট
চা বিরতির আগে বাংলাদেশের ৫ উইকেট
চা বিরতির আগে বাংলাদেশের ৫ উইকেট
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে আগে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই পেয়ে যায় সাফল্য। এরপর অবশ্য পুরো সেশন সহজেই কাটিয়ে দেন সাইম আইয়ুব, শান মাসুদ। লাঞ্চ বিরতির পর পাকিস্তান ছন্দ হারিয়ে বসে। একে একে হারায় মাসুদ, সাইম, শাকিল ও বাবর আজমের উইকেট। গেল দুই সেশন মিলিয়ে বাংলাদেশের দখলে ৫ উইকেট।
সেশনের শুরুতে জোড়া উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষে সাকিবের স্পিন ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে বাবর আজম। দুপুরের সেশনে খেলা হয়েছে ৩০ ওভার। যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করতে পারে ৮৪ রান।
দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫৫ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৩ রান। রিজওয়ান ৩৭ বলে ১৮ রানে অপরাজিত। তার নতুন সঙ্গী সালমান আলি আগা এখনও পাননি রানের দেখা।
লাঞ্চ ব্রেকের আগেই ফিফটি পূর্ণ করা শান মাসুদ ফিরে এসে ইনিংস আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। রিভিউ চ্যালেঞ্জ জানিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি পাক অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত ৫৭ রানে। শান মাসুদের পর অবশ্য আরেক সেট ব্যাটার সাইম আইয়ুবকেও বিদায় করেন মিরাজ। এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের নিজের দ্বিতীয় অর্ধশত রান ছুঁয়ে যান ওপেনার সাইম।
লাঞ্চ বিরতির পরের ৯ ওভারের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। বিপদ আরও বাড়তে পারত পাকিস্তানের, আনলাকি নাহিদ রানা। কেবল ১ রানেই ফিরে যাওয়া লাগত সৌদ শাকিলের, যদি না স্লিপে দাঁড়ানো মিরাজ সহজ ক্যাচটা ছাড়তেন। নতুন জীবন পাওয়া শাকিলকে নিয়ে এরপর জুটি বাঁধেন বাবর আজম।
তাসকিন আহমেদ আরও একবার অ্যাকশনে এসে করেন আরেকটি বোল্ড। এবার তার শিকার একবার জীবন পাওয়া সৌদ শাকিল। ইনসাইড এজে বল আঘাত করে ১৬ রানে থাকা শাকিলের স্টাম্পে। দলীয় ১৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ০ ও ২২ রান পাওয়া বাবর আজম আজ পেলেন রানের দেখা। দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে এরপর অবশ্য স্বস্তি এনে দেন বাবরই।
কিন্তু সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণির সামনে বাবর আজম উইকেট হারান লেগ বিফোরের ফাঁদে। ৭৭ বলে ৩১ রান করে আউট হলেন বাবর। ক্রিজে রিজওয়ানের নতুন সঙ্গী হন আগা সালমান। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। বাবরকে ফেরানোর দুই বল পর সাকিব নিতে পারতেন সালমানের উইকেটও। শর্ট লেগে থাকা জাকির হাসান ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি। ক্যাচ মিসে নতুন জীবন পেয়ে পাকিস্তান যায় টি ব্রেকে।