জয়ে ফিরল রাজস্থান, পাঞ্জাবের ঝুলিতে আরও এক হার
জয়ে ফিরল রাজস্থান, পাঞ্জাবের ঝুলিতে আরও এক হার
জয়ে ফিরল রাজস্থান, পাঞ্জাবের ঝুলিতে আরও এক হার
রাজস্থান রয়্যালসের ঝুলিতে আরেকটি জয়ের মাত্রা যোগ হলো। আগের ম্যাচটি হেরে অপরাজিত থাকার তকমা ভেঙেছে। তবে শনিবার রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় তুলেছে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে রাজস্থান।
লক্ষ্যমাত্রা খুব বেশি ছিল না। তাতে যে রাজস্থান রয়্যালস আরাম করে জয়ের কাছাকাছি এসেছে তাও নয়। প্রথমে ওপেনার ইয়াশাসভি জাইসাওয়াল ও তানুশ কোতিয়ানের ভদ্রস্থ শুরু ছিল। জাইসাওয়ালের ব্যাটে আসে ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। রান তোলা নিয়ে এই ব্যাটার সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা সংগ্রাম করছেন।
সানজু স্যামসন ও রিয়ান পরাগ দুজনের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ইনিংস বড় হয়নি। স্যামসন ১৪ বলে ১৮ রানে এবং পরাগ ১৮ বলে ২৩ রানে নিজেদের উইকেট হারিয়েছেন। ধ্রুব জুরেলও ফিরলেন মাত্র ৬ রান করে।
১৭.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রাজস্থানের রান তখন ১১৫।
এই সময় শিমরন হেটমায়ারের কাঁধে দায়িত্ব ওঠে দলকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার। হেটমায়ার তা ভালোভাবেই করেছেন। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আর্শদ্বীপ সিং এর সেই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই উইন্ডিজ ব্যাটার। যার একটি আসে পঞ্চম বলে, যখন দুই বলে আর দুই রান প্রয়োজন ছিল।
এরমধ্যে সঙ্গী হিসেবে রোভম্যান পাওয়েল এবং শেষ ওভারে কেশব মহারাজকে হারিয়েছিল হেটমায়ার। তবে জয় নিশ্চিত করতে খুব একটা অসুবিধা বা সমস্যায় পড়তে হয়নি রাজস্থানের।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংসের টপ অর্ডারের কিছুটা ভঙ্গুর দশা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। অথর্ব তাইডে ও জনি বেয়ারস্টো দুজনেই ফিরেছেন ১৫ রান করে। তিনে নামা প্রবশিমরান সিং এর ব্যাটে ১০ রানের বেশি আসেনি। হাসেনি স্যাম কারেনের ব্যাটও।
জিতেশ শর্মা কিছু রান করলেও, সেখানে রান ও বলের ব্যবধানে তেমন ফারাক ছিল না। ২৪ বল খেলে ২৯ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষদিকে কিছুটা রান আসে লিয়াম লিভিংস্টোন ও আশুতোষ শর্মার কাছ থেকে। লিভিংস্টোন ১৪ বলে ২১ এবং আশুতোষ ১৬ বলে ৩১ রান করে ফিরেছেন।
শেষমেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে থামে পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে আবেশ খান ও কেশব মহারাজ দুজনেই ২ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন।