শাহীন শাহ আফ্রিদিদের পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন মোহাম্মদ ওয়াসিম
শাহীন শাহ আফ্রিদিদের পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন মোহাম্মদ ওয়াসিম
শাহীন শাহ আফ্রিদিদের পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন মোহাম্মদ ওয়াসিম
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম গড়লেন ইতিহাস। দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে জিতলেন আইসিসি মেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরষ্কার।
এই ব্যাটার আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা হবার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নামিবিয়ার জেরহার্ড এরাসমাসের সঙ্গে। ওয়াসিম পেছনে ফেলেছেন দুজনকেই।
এই পুরষ্কার জিতে মোহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, 'এটা দারুণ সম্মানের, আইসিসি মেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থের পুরষ্কার জেতা। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পুরষ্কার জেতা দারুণ সব ক্রিকেটারের নামের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।'
'এই পুরষ্কার ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত দেশের ক্রিকেটারের জন্য। গেল মাসে আমাদের লক্ষ্য ছিল ওমানে এসিসি প্রিমিয়ার কাপে ভালো খেলে আগামী বছরের এশিয়া কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়া। আমি আমার দলের পারফরম্যান্সে গর্বিত।'
'ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে, বিশেষ করে ফাইনালে। বড় মঞ্চে সেঞ্চুরি করা দারুণ মুহূর্ত, বিশেষ করে যখন সেটা দলের জয়ের কারণ হয়। আমি এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতির দিকে তাকিয়ে আছি। ব্যাট হাতে আমি পারফর্ম করে যেতে চাই, অধিনায়ক হিসাবে উদাহরণ তৈরি করতে চাই।'
২০২১ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ওয়াসিমের। এরপর থেকেই দলের ব্যাটিং ভরসার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। তিনি ইতোমধ্যেই ওয়ানডেতে দলটির ৩য় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
টি-টোয়েন্টিতে তো মোহাম্মদ ওয়াসিম দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৪০ ছুঁইছুঁই গড় ও ১৫৪.৬৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ১৯৭৭।
এসিসি প্রিমিয়ার কাপের প্রথম ম্যাচে কোন রান না করতে পারলেও পরবর্তীতে ৬৫, ৪৫ ও ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার। পরবর্তীতে ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন তিনি। নিজের ৩য় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে ওমানকে সহজেই হারায় তাঁর দল। ২৬৯ রান করে ওয়াসিম হন প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট।