নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার জন্যই ঢাকার বাহিরে টেস্ট
নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার জন্যই ঢাকার বাহিরে টেস্ট
নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার জন্যই ঢাকার বাহিরে টেস্ট
সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নির্বাচক প্যানেল হতাশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে গঠিত হয়েছে নতুন নির্বাচক প্যানেল। যেখানে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে কাজ করছেন আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল), গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন গাজী আশরাফ। লাল বলের ক্রিকেটে হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি উন্নতির পথ খোঁজার চেষ্টা করলেন তিনি।
নতুন নির্বাচকদের প্রথম দায়িত্ব ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দল সাজানো। সে দায়িত্ব পালন করেছে গাজী আশরাফের প্যানেল। কিন্তু বটে বলে নাজমুল হোসেন শান্ত'র দল কোনো আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। ক্রিকেট দর্শকেরা দেখেছে বাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং। যেখানে ছিল না কোনো দক্ষতার প্রকাশ, রান করার প্রয়াস, টিকে থাকার মানসিকতা।
গাজী আশরাফ হতাশা প্রকাশ করে জানান, “টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা হতাশ। আমাদের আশা ছিল যে, দল আরও ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফলাফল যে আমাদের পক্ষে আসতে হবে এমন কোনো কথা ছিল না। আগেই বলেছি যে, যথেষ্ট স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি।”
স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মিরপুর নিয়ে সমালোচনা থাকে। কিন্তু এবারের ম্যাচগুলো সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার জন্য এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ খারাপ করার পাশাপাশি এটিও প্রকাশ পেয়েছে, এধরনের উইকেটে ক্রিকেটারদের সক্ষমতা ঠিক কতটুকু ভালোর কাছাকাছি থাকে।
“কারণ আমাদের দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশে গিয়েও খেলতে হবে। সেটার জন্য নিজেদের সক্ষমতা, দূর্বলতা বিচার করার জন্য বিসিবি এই ধরণের ভেন্যু, উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এতে হয়তো আমরা কিছুটা আশাহত কিন্তু আমাদের দূর্বলতার জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে।”
ব্যাটসম্যানরা অনেকে ক্রিজে এসেই ব্যাট চালিয়ে দিয়েছে বড় শট খেলার জন্য। যা টেস্টের ধরন নয়। গাজী আশরাফ সে কথাও তুলে আনলেন। তিনি বলেন, “প্রথম বলেই অনেকে চালিয়ে দিয়েছেন, এটাও টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং ছিল না। টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হতো। সামনে যে তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ আছে, ওখানে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রস্তুতি ম্যাচের স্লট আছে। সবাই চেষ্টা করে দ্রুত শেষ করার।”