রিয়াদ সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার এবং বিগ ম্যাচ পারফর্মার: হাথুরু
রিয়াদ সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার এবং বিগ ম্যাচ পারফর্মার: হাথুরু
রিয়াদ সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার এবং বিগ ম্যাচ পারফর্মার: হাথুরু
১২০ বলে দরকার ১২৫, লঙ্কানদের হারাতে বাংলাদেশের সহজ টার্গেট। এমন সহজ ম্যাচও বেশ কঠিন করেই জিততে হল। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কড়া ঝাঁজ। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে তার খেলা এটিই সবচেয়ে বেশি চাপের ছিল। আর এই কঠিন চাপই যে সামনে থেকে সামলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, দলকে জিতিয়ে ছেড়েছেন মাঠ। সর্বমহলে রিয়াদ ভাসছেন প্রশংসায়, এবার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও মেতে ওঠলেন রিয়াদ বন্দনায়। তার চোখে রিয়াদ, 'বিগ ম্যাচ পারফর্মার'।
শ্রীলঙ্কাকে দুই উইকেটে হারিয়ে স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ দল। কিন্তু গেল কয়েকদিনের পারফরম্যান্সে এই দলটার আত্মবিশ্বাস ছিল একেবারে তলানিতে। বিশেষ করে টপ অর্ডারের টানা ব্যর্থতা, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার, ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় পরাজয়। তবে সব ছাপিয়ে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে জয়, ছন্দে ফেরার আভাস নাজমুল হোসেন শান্তদের। দেশের প্রয়োজনে আরও একবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়াই করলেন। তার ব্যাটে চড়েই আরও একবার হল লঙ্কা বধ।
ম্যাচ শেষে রিয়াদ-হাথুরুর একটা ছবি বেশ আলোচিত হয়েছে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে। রিয়াদের কাঁধে হাতে রেখে কিছু একটা বলছিলেন হেড কোচ। পরের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদকে রীতিমতো প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেন। হাথুরুর মতে, বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড় এই রিয়াদ,
'সে ভালোভাবে ফিনিশ করতে পারে এজন্যই সে সেখানে ব্যাট করছে। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। চাপের মধ্যে আমাদের দলের সবচেয়ে ঠাণ্ডা মাথার মানুষদের মধ্যে একজন সে। সে জানে তার কাজটা। সে আমাকে বলেছিল ইনিংসের মাঝে যে আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে যেতে চাই আর যাইহোক না কেন। সে তা করেও দেখিয়েছে। এটা প্রথমবার করেনি সে। সে একজন বিগ ম্যাচ পারফর্মার। সে বেশিরভাগ বিশ্বকাপেই আমাদের হয়ে ভালো করেছে।'
লঙ্কানরা টাইগারদের সাথে দুই উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই প্রায় ছিটকে গেল। বিপরীতে বেশ ভালোভাবেই বাংলাদেশের টিকে আছে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন। দল জিতলেও স্বস্তিতে নেই হাথুরুসিংহে, তার চিন্তা জুড়ে ব্যাটিং। ব্যর্থতার কারণও খোঁজে বের করেছেন হেড কোচ,
'আমি আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করছি। ২-৩ ম্যাচ আগে আমাদের শতরানের জুটি হয়েছিল। আমরা কিছুটা অধারাবাহিক রয়েছি এখানে। এখানে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও আছে। ফরম্যাটটা কঠিন নিজের মত করে সময় নিয়ে ফর্মে ফেরা বা সময় নেওয়ার ক্ষেত্রে কারণ আপনাকে শুরু থেকেই মেরে খেলতে হবে। আত্মবিশ্বাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক জরুরি ব্যাপার। অনেকে রানে নেই। এখানে টেকনিক্যাল কোনো বিষয় নেই কারণ তারা ট্রেনিং করছে সেখানে ভালো করছে। এখানে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণে রান কম পাচ্ছে। ভালো ব্যাপার হল, লিটন পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালো রান করেছে। বিষয়টা ইতিবাচক ছিল।'