ইংল্যান্ডকেও হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, বিশ্বকাপে ৬ এ ৬
ইংল্যান্ডকেও হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, বিশ্বকাপে ৬ এ ৬
ইংল্যান্ডকেও হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা, বিশ্বকাপে ৬ এ ৬
ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ২য় সহ বিশ্বকাপে টানা ৬ জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকলো প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয় জস বাটলারের দল। প্রোটিয়ারা থামে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানে। সেই রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে। তাই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৭ রানের জয় তুলে নেয় এইডেন মার্করামের দল।
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ টি অনুষ্ঠিত হয় ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচ গুলোতে দেখা গেছে রান বন্যা। এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলো ২১৮ রান। আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ড ১৮০ রান টপকেছিলো অনায়াসেই। তাই ধারনা করা হচ্ছিলো এই ম্যাচেও দেখা যাবে চার ছক্কার ফুলঝুরি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক আক্রমণ চালাতে থাকে ইংলিশ বোলারদের উপর। মাত্র ২২ বলেই তিনি তুলে নেন কাঙ্ক্ষিত ফিফটি। অবশ্য একবার জীবন ফিরে পেয়েছিলেন ডি কক। মার্ক উড ডি ককের ক্যাচটি ধরার সময় বল মাটি স্পর্শ করায় টিভি আম্পায়ার সেটিকে নট আউট ঘোষণা করেন।
ডি ককের সঙ্গে ৫৯ বলে ৮৬ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটে রিজা হেনড্রিংক আউট হলে। কিছুক্ষণ পর ৬৫ রান করে আর্চারের বলে আউট হয়ে যান ডি কক ও। শেষের দিকে ডেভিড মিলারের ২৮ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও তে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।
১৬৪ রানের লক্ষ্যটা ইংল্যান্ডের জন্য খুব কঠিন মনে না হলেও শুরুতেই গড়বড় পাকিয়ে ফেলে দলটি। দলীয় মাত্র ১৫ রানেই আউট হন ফিল সল্ট। তারপর একে একে আউট হন বেয়ারেস্টে ও বাটলার। ১০.২ ওভারে ৬১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
একদিকে রানরেটের চাপ অন্যদিকে বেশী উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে জয়ের আশা দেখায় হ্যারি ব্রুক ও লিভিংস্টোন জুটি। ৪২ বলে ৭৮ রান সংগ্রহ করেন তারা। হ্যারি ব্রুক আউট হন ৫৩ রানে এবং লিভিংস্টোন ৩৩ রানে।
শেষ দিকে সমীকরণটা ১৮ বলে মাত্র ২৫ রান। কাগিসো রাবাদা, মার্কো ইয়ানসেন ও আনরিখ নর্কিয়া শেষ তিন ওভারে ১৭ রানের বেশী তুলতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। ফলে জয়ের কাছে গিয়েও হার মানতে হয় ৭ রানে।