বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভয়াবহ ভ্রমণ-সূচির মুখোমুখি, ব্যস্ততার হিসাবে সবার ওপরে
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভয়াবহ ভ্রমণ-সূচির মুখোমুখি, ব্যস্ততার হিসাবে সবার ওপরে
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভয়াবহ ভ্রমণ-সূচির মুখোমুখি, ব্যস্ততার হিসাবে সবার ওপরে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করবে, যেখানে চারটি দল ১ হাজার কিলোমিটারের কম ভ্রমণ করবে। বাংলাদেশের চেয়ে কম দূরত্ব ভ্রমণ করলেও শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে অভিযোগের আঙুল উঁচিয়েছে আইসিসির দিকে।
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ব্যস্ততম দল: বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া ২০ দলের মধ্যে- নেদারল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড এবং বাংলাদেশ যারা প্রস্তুতি পর্বের শুরু থেকে প্রথম রাউন্ডের শেষ পর্যন্ত চারবার টিম হোটেল পরিবর্তন করবে।
দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ সবচেয়ে ব্যস্ত দল। সাকিব-শান্তরা মোট ৯,৯২১ কিমি ভ্রমণ করবে: ডালাস-নিউইয়র্ক-ডালাস-নিউইয়র্ক-কিংসটন। পরবর্তী ব্যস্ততম শ্রীলঙ্কা, যারা লডারহিলে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু প্রথম রাউন্ডের খেলাগুলোর জন্য চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে ভ্রমণ করবে, তাদের ভ্রমণ করতে হবে মোট ৮,০৯৭ কিলোমিটার দূরত্ব।
মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিটি দল দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ব্যস্ত আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের কারণে, সব দল অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পছন্দ করেনি। ভারত, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি মাত্র অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে; যেখানে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড কোন ম্যাচই খেলেনি। বাকি সব দল দুটি করে ম্যাচ খেলেছে।
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভাগ্যবান: ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড। যাদের শুধুমাত্র একবার হোটেল ও জায়গা পরিবর্তন করতে হবে। ভারত ব্যতীত বাকি তিন দলের কেউ টুর্নামেন্টের আগে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। ভারত একটি মাত্র খেলেছে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বের শেষ পর্যন্ত তাদের পাঁচটি খেলার মধ্যে একটি মাত্র ফ্লাইট নিতে হবে।
ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ এবং তাদের প্রথম তিনটি প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ সবই নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগামী ১৫ই জুন কানাডার বিপক্ষে রোহিত শর্মার দল তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ফ্লোরিডার লডারহিলে। ভারতকে এক ভেন্যু বদলাতেই অবশ্য ভ্রমণ করতে হবে ১,৭১৭ কিলোমিটার। তবে দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড সবচেয়ে কম (৫০৫ কিমি) ভ্রমণ করবে।