টানা চার হার বেঙ্গালুরুর, উড়ে গেল মুম্বাইয়ের ঝড়ো ব্যাটে
টানা চার হার বেঙ্গালুরুর, উড়ে গেল মুম্বাইয়ের ঝড়ো ব্যাটে
টানা চার হার বেঙ্গালুরুর, উড়ে গেল মুম্বাইয়ের ঝড়ো ব্যাটে
আস্তে আস্তে জয়ের ধারায় ফিরছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে ঘরের মাটিতে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে দলটি। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বেঙ্গালুরুর ১৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১৫.৩ ওভারে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভাগ বসিয়েছে ক্রিজে আসা সব ব্যাটাররা, জয় তুলেছে ২৭ বল বাকি থাকতেই।
টানা ৪ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বেঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ তুলেও রক্ষা হলো না। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভিরাট কোহলি ও উইল জ্যাকস ফিরেছেন খুব দ্রুত। এই দুই ব্যাটার এক ডিজিটে ফিরলেও উজ্জ্বল ছিলেন দলীয় অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি।
পাশাপাশি ৪ নম্বরে নামা রজত পাতিদার। ডু প্লেসি ও পাতিদার মিলে দলের এক'শ রান পাড়ি দিয়েছেন। পাতিদার ফিফটি করেই নিয়েছেন বিদায়। তার ২৬ বলে পঞ্চাশ রানের ইনিংসে রানের ধাক্কা বাড়িয়েছে বেঙ্গালুরু।
এদিকে ডু প্লেসির রান থেমেছে ৪০ বলে ৬১ রানে। আর বাকি ব্যাটারদের মধ্যে এক ডিজিটে ফেরার মহড়ায় আলো ছড়িয়েছেন দীনেশ কার্তিক। এই ব্যাটার ২৩ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে জাসপ্রীত বুমরাহ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই শুরু থেকেই ছিল মারমুখী। ইশান কিষান ও রোহিত শর্মা মিলে প্রথম ৬ ওভারে তুলেছে বিনা উইকেটে ৭২ রান। মাত্র ৮.৩ ওভারে দলের শতক পূরণ হয়।
দলীয় ১০১ রানে ফিরেছেন কিষান। তিনি ৩৪ বলে ৬৯ রান করে ফেরেন। কিছু বাদে ফিরে যান রোহিত। তার ব্যাটে আসে ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ব্যাটে আগুন ঝড়িয়েছেন সুরিয়াকুমার। চোট থেকে ফিরে এসে প্রথম ম্যাচে শূন্য হাতে ফিরলেও, এদিন ১৯ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস।
যখন ফিরেছেন দলের রান ১৭৬ এ পৌঁছে গেছে। তখন কেবল ১৩.৩ ওভার চলছিল। বাকিটুকু শেষ করেছে হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক ভার্মা। পান্ডিয়া ৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তিলক অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৬ রানে।
মাত্র ১৫.৩ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।