সিলেটে মার্শাল-বিপ্লবদের অনুপ্রেরণায় ইডেনের দ্রাবিড়-লক্ষণ
সিলেটে মার্শাল-বিপ্লবদের অনুপ্রেরণায় ইডেনের দ্রাবিড়-লক্ষণ
সিলেটে মার্শাল-বিপ্লবদের অনুপ্রেরণায় ইডেনের দ্রাবিড়-লক্ষণ
সিলেটে মার্শাল আইয়ুব ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ১৮২ রানের জুটিতে স্বস্তি ফিরেছে ঢাকা মেট্রো শিবিরে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার ৩৯৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে ফলোঅনে পড়ে মেট্রো। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে মেট্রো।
ফলোঅনে পড়েও যে ম্যাচে ফেরা যায় দিনের খেলা শেষে মেট্রোর কোচ মিজানুর রহমান বাবুল সেই গল্প শুনিয়েছিলেন মার্শাল ও বিপ্লবদের। শিষ্যদের ভাল খেলার উৎসাহ ও উদ্দীপনা জোগাতে বাবুল টেনে আনেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের ৩৭৬ রানের জুটি।
২০০১ সালে ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার ৪৪৫ রানের জবাবে ১৭১ রানে অলআউট হলে ফলোঅনে পড়ে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্মণ (২৮০) ও দ্রাবিড় (১৮০) দুজনের পঞ্চম উইকেটে ৩৭৬ রানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারত ম্যাচ জিতেছিল ১৭১ রানে।
মেট্রো কোচের দ্রাবিড়-লক্ষণের সেই গল্পই যেন সিলেটে মার্শাল ও বিল্পবদের অনুপ্রেরণাই জুগিয়েছে। তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে আবার দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বসে মেট্রো। সেখান থেকে মার্শাল ও বিপ্লব ১৩১ রানের জুটি গড়ে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মেট্রো শিবিরে। যেখানে মার্শাল (১৫০) হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, সাথে বিপ্লব করেছেন ৭৩ রান। মার্শাল-বিপ্লবের ১৮২ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর পাশাপাশি জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে মেট্রো। মার্শাল-বিপ্লবের এই জুটিতে মেট্রো লিড পেয়েছে ২০৬ রানের।
মার্শাল-বিপ্লবের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসা প্রসঙ্গে কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, ‘২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়া ভারত সফর করেছিল। সেখানে এক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৪৪৫ রানের জবাবে ভারত ফলোঅনে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রাবিড় (১৮০) ও লক্ষ্মণ (২৮১) তাদের ৩৭৬ রানের জুটিতে ভারত ৬৫৭ রান করে ম্যাচ জিতেছিল। এই গল্পটাই আমি ছেলেদের শুনিয়েছি। যে এটা কোনো ব্যাপারিই না। আর এটাই হয়তো মাঠে কাজ করছে।’
কোলকাতার ইডেনের মতো সিলেটে ফলও মেট্রোর পক্ষে আসতে পারে। কারণ চারদিনের ম্যাচে ক্ষনে ক্ষনে রঙ বদলায়, সেইদিক থেকে ভাল অবস্থানেই আছে মেট্রো৷ তবে আগ বাড়িয়ে কিছুই বলতে চাচ্ছেন বাবুল, ‘আসলে বলা যায় না কী হয়। ম্যাচে এখনও অনেক কিছু বাকী।’