চেন্নাইয়ের বড় হারের রাতে মুস্তাফিজ ছিলেন খরুচে
চেন্নাইয়ের বড় হারের রাতে মুস্তাফিজ ছিলেন খরুচে
চেন্নাইয়ের বড় হারের রাতে মুস্তাফিজ ছিলেন খরুচে
সর্বশেষ দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের স্বাদ পেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে দলটি। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা চেন্নাই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে ইনিংস শেষ করে। বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে লক্ষ্ণৌ।
লক্ষ্যমাত্রা ১৭৬, সেখানে লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটিতে ম্যাচ সহজ হয়ে যায় লক্ষ্ণৌ এর জন্য। দুজন মিলে মোট ১৫৩ রান তুলেছেন দলের খাতায়। ৪৩ বলে ৫৩ করে ফিরতে হয়েছে ডি কককে। পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অফ কাটারের শিকার হয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভস বন্দি হয়েছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।
তবে রাহুল ছিলেন, দলকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিয়ে তবেই ক্ষান্ত হয়েছেন। ১৭.১ ওভারে মাথিশা পাথিরানার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার ব্যাটে ৯ চার ও ৩ ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান আসে।
পরের সহজ কাজটুকু নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টইনিস মিলেই করেছেন। ১২ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন পুরান। অন্যদিকে স্টইনিস ৭ বলে ৮ রান করে ক্রিজ ছেড়েছেন দলের জয় নিশ্চিত করে।
এর আগে লক্ষ্ণৌ এর মাঠে রাচিন রবীন্দ্র ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে চেন্নাই হারিয়েছে ৩৩ রানের মাথায়। অজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে কিছু রান আসে বটে। পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজার অপরাজিত ইনিংস রাখে ভূমিকা।
শিভাম দুবে ও সামির রিজভীর ব্যাট ছিল ব্যর্থ। তবে মইন আলির ২০ বলে ৩০ রান এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির আবারও সেই মারকুটে ব্যাটিং চোখে দেখেছে দর্শকেরা।
শেষপর্যন্ত জাদেজা ও ধোনি অপরাজিত থেকেই ক্রিজ ছেড়েছেন। যেখানে ৪০ বলে ৫৭ রান ছিল জাদেজার নামের পাশে। ধোনির ঝড়ো ইনিংসে লেখা ছিল ৯ বলে ২৮ রানের দৃশ্যায়ন। যেখানে ৩ চার ও ২ ছক্কা শোভা পেয়েছে। চেন্নাইয়ের রানও গিয়ে থেমেছে ১৭৬ এ।