চার ০, তবুও জিম্বাবুয়ে পেল ১২৪
চার ০, তবুও জিম্বাবুয়ে পেল ১২৪
চার ০, তবুও জিম্বাবুয়ে পেল ১২৪
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে কোনপ্রকার লড়াই চালাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। শেখ মেহেদী, তাসকিনদের বোলিং তোপের সামনে রাজা- বার্লরা দেখালেন অসহায় আত্মসমর্পণ। ১৮ মাস পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বাজিমাত, মাত্র ১৫ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটারদের মধ্যে এদিন ৪ জন পেয়েছেন ডাকের স্বাদ, আবার তিনজনই হয়েছেন গোল্ডেন ডাক। দুই অংকের ঘরও ছুঁয়েছেন সমান ৪ ব্যাটার। ৮ম উইকেট জুটিতে মাদান্ডে-মাসাকাদজা মিলে অবিশ্বাস্য ভাবে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৭৫ রান। আর তাতেই জিম্বাবুয়ে পেল চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ১২৪ রানে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিততে ১২০ বলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৫ রান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত থেকে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ক্যাপ পেলেন তানজিদ হাসান তামিম। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এভাবেই শুরু হয় বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
তবে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে সফরকারী দল। সাকিব আল হাসান চট্টগ্রাম পর্বে না থাকায় স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা শেখ মেহেদী বল হাতে অ্যাকশনে আসেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। আর্ম ডেলিভারিতে ভাঙেন ক্রেইগ আরভিনের স্টাম্প। এই জিম্বাবুইয়ান ওপেনারকে এদিন ফিরে যেতে হয় শূন্য হাতে। আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি থিতু হয়ে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
১৮ মাস পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রথম ওভারেই দেখা পান উইকেটের। ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে ধরা পড়েন ১৭ রানে থাকা গাম্বি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষ হবার আগে আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট ব্যক্তিগত ১৬ তে হয়েছেন রান আউট। গোল্ডেন ডাকের শিকার অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। শেখ মেহেদীকে সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ রাজা, বল ছুঁয়ে যায় তার গ্লাভস। প্রথম স্লিপে থাকা লিটন দাস সহজেই হাতে লুফে নেন ক্যাচ।
৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রানে পাওয়ার প্লে শেষ করা জিম্বাবুয়ে এই ৩৮ রানেই হারায় আরও দুই উইকেট। ইনিংসের ৭ম ওভারে মাত্র ১ রান খরচায় তাসকিন আহমেদের দখলে জোড়া শিকার। ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ফেরান শন উইলিয়ামস, দ্বিতীয় বলে তুলে নেন রায়ান বার্লের উইকেট। দুজনেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন গোল্ডেন ডাকের লজ্জা নিয়ে।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে পান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা। এবার তার শিকার লুক জঙ্গে। শর্ট বল পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ জঙ্গে, তাওহীদ হৃদয় মিড অন থেকে লুফে নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তখন চরম বিপাকে।
এরপর অবশ্য জিম্বাবুয়ে ম্যাচে ফিরে আসে দারুণভাবে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর ক্লাইভ মাদান্ডে জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৭৫ রান, তাও আবার ৬৫ বলে। শেষপর্যন্ত ইনিংসের ১৯তম ওভারে গিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। ৩৯ বলে ৪৩ রানে বোল্ড হন ক্লাইভ মাদান্ডে। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন পেলেন তৃতীয় উইকেটের দেখা।