আরব আমিরাতকে ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল উগান্ডা

আরব আমিরাতকে ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল উগান্ডা
আরব আমিরাতকে ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল উগান্ডা
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগেই প্রমাণ হয়েছে, ছোট-বড় কিছু নয় যার দিন ভালো, জয় তারই। কিন্তু কিছু কিছু ম্যাচ থাকে যা শুধু জয়-পরাজয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় ক্রিকেট দুনিয়ায়। তেমনই এক ম্যাচে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৬ রানে হারিয়েছে তুলনামূলক অনুজ শক্তি উগান্ডা।
এই জয় শুধু উগান্ডার নয়, এটা আসলে বাংলাদেশের জন্যও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগেই এই আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ সেই আমিরাত এবার হারের ধাক্কা খেয়েছে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অনেক নিচে থাকা উগান্ডার কাছে।
এনটেবে ক্রিকেট ওভালে অনুষ্ঠিত ‘পার্ল অব আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ’ এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে উগান্ডা সংগ্রহ করে মাত্র ১২৬ রান। মূল ভরসা ছিল দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার রাঘব ধাওয়ান (৪৪) এবং শ্রিদীপ মাঙ্গেলা (৩৯) এর ওপর। সেই ইনিংসও কিন্তু ঝড়ো কিছু নয়, বরং ধৈর্য্য ও কৌশলের ফসল।
প্রতিপক্ষের এমন ছোট টার্গেটকে চোখ বুজে পার করার কথা ভাবাই যায়, বিশেষ করে আমিরাতের মতো অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ দলের জন্য। কিন্তু উগান্ডার বোলাররা প্রমাণ করে দিলেন ম্যাচ শুধু রানে হয় না, হয় পরিকল্পনায়, আবেগে এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবেও।
জুমা মিয়াগির তিন উইকেট আর অলরাউন্ডার আলপেশ রামজানির কিপটে বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানেই থেমে যায় আমিরাতের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম, বাকিদের মধ্যে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
এই পরাজয়ের পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলনা করছেন বাংলাদেশ-আমিরাত সিরিজের প্রসঙ্গ তুলে। যেখানে এক ম্যাচে হেরেই সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। এখন সেই দল যদি উগান্ডার কাছে হারে, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে বাংলাদেশ কি আদৌ এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে ফেভারিট দলগুলোর কাতারে আছে?
অবশ্য এটিকে অঘটন বললে উগান্ডার প্রতি অবিচারই করা হবে। ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করা দলটি বিশ্বক্রিকেটের আলোচনায় আসার জন্য মাঠে নিজেদের সবটুকু ঢেলে দিচ্ছে। আর সেই চেষ্টারই পুরস্কার হিসেবে তারা পেল এমন এক জয়, যা হয়তো তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবেই ধরা থাকবে।
উগান্ডার জয়ে যেমন আনন্দের উচ্ছ্বাস, তেমনি বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের সতর্কবার্তা। ক্রিকেটে র্যাংকিং, নাম বা ইতিহাস সব কিছু ছাপিয়ে এখন লড়াইটা সামর্থ্য, মুহূর্ত আর মনোভাবের। যেখানে পিছিয়ে পড়লেই, ছোট দল বলে কিছু থাকে না।