স্টোকসের সতর্কবার্তা: অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়

৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম

প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
স্টোকসের সতর্কবার্তা: অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়

স্টোকসের সতর্কবার্তা: অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়

স্টোকসের সতর্কবার্তা: অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়

অ্যাশেজে একের পর এক ধাক্কা খেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেন ও গাবার লজ্জাজনক পরাজয় সিরিজকে নিয়ে গেছে বিপজ্জনক দিকে। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে মনোবল ও দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতেই কঠোর বার্তা ছুড়ে দিয়েছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।

ইংল্যান্ড দলপতি ও ক্রিকেটবিশ্বে লড়াকু মানসিকতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত বেন স্টোকস নিজের ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণেও অনমনীয় এমনই ভাবমূর্তির প্রতিফলন দেখা গেল তার তীক্ষ্ণ মন্তব্যে। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ইংল্যান্ড ড্রেসিংরুমে দুর্বলতা বরদাশত না করার কথা স্পষ্ট করে বলেন। স্টোকসের ভাষায়,
"অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়। এটা আমি বারবার বলেছি। আর আমি যে ড্রেসিংরুমের অধিনায়ক, সেটাও দুর্বল মানুষের জন্য নয়।"

দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কারণ হিসেবে স্টোকস সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেন চাপের মুহূর্তগুলোতে খেলোয়াড়দের বিচ্যুতি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ ধরে রাখতে না পারাকে তিনি ইংল্যান্ডের ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন। তার কথায়,
"ম্যাচ যখন সমানে-সমানে থাকে, আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে জিততে পারছি না। এখানেই অস্ট্রেলিয়া আমাদের ছাপিয়ে যাচ্ছে।"

টানা দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমও ছাড় দিচ্ছে না। তাদের শিরোনামে এসেছে ‘হম্বলড’, ‘হিউমিলিয়েটেড’, ‘অ্যাশেজে বাজবলের পতন’ যা স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আক্রমণাত্মক কৌশলের ব্যর্থতারই প্রতিচ্ছবি বলে অনেকে মনে করছেন।

ইংল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জিওফ্রে বয়কটও কঠিন ভাষায় দলকে সমালোচনা করেছেন। তার ক্ষুব্ধ মন্তব্য,
"এই ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে তো ডিমের কাপও জিততে পারবে না ইংল্যান্ড, অ্যাশেজ তো দূরের কথা।"

এমন সমালোচনার ঝড়ের মাঝেই অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টের আগে নুসা বিচে চার দিনের বিরতি নিয়েছে ইংল্যান্ড দল। টানা দুই হারের পর এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও স্টোকস মনে করেন, মানসিক সতেজতা ফিরে পাওয়া এখন সবচেয়ে জরুরি। চার দিনের রিলাক্সেশনের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,
"মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়লে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। কয়েক দিনের ছুটি ঠিকই প্রয়োজন।"