এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে খেলেননি শান্ত
এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে খেলেননি শান্ত
এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে খেলেননি শান্ত
১২০ বলে দরকার ১২৫, লঙ্কানদের হারাতে বাংলাদেশের সহজ টার্গেট। এমন সহজ ম্যাচ বেশ কঠিন করেই জিততে হল বাংলাদেশ দলকে। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কড়া ঝাঁজ। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে তার খেলা এটিই সবচেয়ে বেশি চাপের ছিল। শুরুর ম্যাচেই দুই পয়েন্ট পাওয়াতে খুশি শান্ত। ব্যাটিং ভালো হয়নি; শান্তর বলেছেন, চাপের ম্যাচে এরকম হয়।
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথ মানেই যেন ভিন্ন উত্তেজনা! সেই নিদহাস ট্রফির নাগিন ডান্স থেকে শুরু। নাগিন ড্যান্স থেকে টাইমড আউট—এক লড়াইয়ের মাঝে ঘটে যায় আরও কত লড়াই। এই যে দুটি দলের লড়াইয়ের মধ্যে লড়াই খেলাটায় বাড়তি উত্তেজনার পারদ চড়ায়। তা আরও একবার দেখা গেল, বিশ্বকাপের মঞ্চে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া- ক্যারিয়ারের সবচেয়ে টেন্সড ম্যাচ ছিল কিনা এটা? জবাবে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন,
'বলা যেতে পারে। আমার কাছে তো তাই লেগেছে খেলা শুরুর আগে থেকে। এটা আমরা দুই দিন আগে থেকেই আমরা জানতাম। ব্যক্তিগতাভাবে আমার মনে হয়েছে এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে আমি খেলিনি। দিন শেষে জিততে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ্।'
'আমরা সবাই জানতাম এই ম্যাচ কত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বোলিংয়ে শুরুটা ভালো পাইনি। তারপরে যেভাবে সবাই শান্ত ছিল, মাঝের ওভারে বোলাররা যেভাবে সিদ্ধান্তগুলো, ফিল্ডাররাও। সবাই অনেক ভালো ক্যারেক্টার দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যাটিং ভালো হয়নি। তবে এই ধরণের উইকেটে বা চাপের ম্যাচে এরকম হবে। কারণ ওদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। ওরাও অনেক চেষ্টা করেছে। দিন শেষে দুইটা পয়েন্ট পেয়েছে, এজন্য ভালো লাগছে।'
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অলআউট ৭৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জার পরাজয়ের পর লঙ্কানদের মিশন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু এমনটা আর সম্ভব হয়নি, লঙ্কানরা টাইগারদের সাথে দুই উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই প্রায় ছিটকে গেল। বিপরীতে বেশ ভালোভাবেই টাইগারদের টিকে আছে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন।